চুয়াডাঙ্গা-জীবননগর সড়কের ভিমরুল্লা বাঁকে দুর্ঘটনা রোধে গতিরোধক দাবি
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা-জীবননগর সড়কের ভিমরুল্লার বাঁক ঝুঁকিপূর্ণ। এখানে মাঝে মাঝেই দুর্ঘটনা ঘটে। এ অভিযোগ তুলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাসহ স্থানীয় জনগণ সড়ক অবরোধ করেছে। গতকাল রোববার ভিমরুল্লাস্থ কারাগারের অদূরে প্রায় তিন ঘণ্টা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে রাখে। পৌর মেয়র প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাসে সড়ক ছেড়ে কমলমতি শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে ফেরে।
কমলমতি শিক্ষার্থীদের দিয়ে সড়ক অবরোধ করানোর দৃশ্য দেখে অনেকেই প্রশ্ন তুলে বলেন, সড়কের কোথায় কতোটা ঝুঁকি, কোথায় গাড়ির কতোটা গতি থাকবে, গতিরোধকের প্রয়োজন আছে কি-না- তা দেখে নির্ধারণ করবে সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলীরা। দুর্ঘটনা ঘটলে দোষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং পুলিশের ব্যর্থতার কারণেই কি কমলমতি শিক্ষার্থীরা সড়কে? নাকি কেউ উসকে ওদের বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের বদলে সড়কে দাঁড় করিয়েছে? শিক্ষার্থীরা অবশ্য বলেছে, তারা দুর্ঘটনায় সহপাঠী হারিয়ে এবং ঝুঁকি হ্রাসেই গতিরোধকের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছে।
স্থানীয়রা বলেছে, মাত্র পাঁচ দিনের ব্যবধানে চুয়াডাঙ্গা-জীবননগর সড়কের বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৪ জন। এর মধ্যে গত শুক্রবার সকালে মোটরসাইকেল আরোহী দেলোয়ার ট্রাকের ধাক্কায় নিহত হন। আহত হয় দু শিশু। এ ঘটনার দু দিনের মাথায় গতকাল রোববার সকাল ৯টায় ভিমরুল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কমলমতি শিক্ষার্থীরা রাস্তায় গতিরোধকের দাবি তুলে অবরোধ গড়ে তোলে। অবরোধ চলে ১২টা পর্যন্ত। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করলেও শিশু শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে পুলিশকে অসহায়ের মতোই দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। অবেশষে চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন শিক্ষার্থীদের দাবি দ্রুত মেনে নেয়ার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন। এরই প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা সড়ক ছেড়ে বিদ্যালয়ে ফেরে।
চুয়াডাঙ্গা-জীবননগর সড়কে জেলা সদরের ভিমরুল্লা নামক স্থানে রাস্তায় ইট, গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের অবস্থান দেখে অনেকেই প্রশ্ন তোলেন। বিরূপ সমালোচনাও করেন অনেকে। শিশু শিক্ষার্থীদের অবরোধের মুখে পুলিশের গাড়িও আটকে যায। রাখে আন্দোলনরত শিশুরা, তাদের সাথে আন্দোলনে যোগ দেয় এলাকাবাসী। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি এরশাদুল কবীর চৌধুরী ঘটনাস্থলে পৌঁছে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের শান্ত করেন। পরে চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার আগামী ৭ দিনের মধ্যে ভিমরুল্লা স্কুলের সামনের রাস্তায় গতিরোধকের (স্পিডব্রেকার) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার আশ্বাস দিলে সড়ক অবরোধ তুলে নেয় আন্দোলনরত শিশুরা।