স্টাফ রিপোর্টার: উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ায় চেয়ারম্যান ও দু ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ।
দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা দেশের সব জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের কাছে লেখা চিঠিতে একক প্রার্থী দেয়ার নির্দেশ দেন। কেউ দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নিলে তাৎক্ষণিকভাবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়ে তা গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হবে বলে চিঠিতে কঠোরভাবে হুঁশিয়ার করে দেয়া হয়েছে।
গতকাল রোববার থেকে আওয়ামী লীগের ধানমন্ডির কার্যালয় থেকে শেখ হাসিনা স্বাক্ষরিত চিঠি পাঠানো শুরু হয়েছে। আজকের মধ্যে সব জেলা ও উপজেলায় চিঠি পাঠানো শেষ হবে। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র চিঠি পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল ও জাতীয় পার্টি সমঝোতা করে নির্বাচনে অংশ নিলেও উপজেলায় সেই সমঝোতা থাকছে না। আওয়ামী লীগ উপজেলায় এককভাবেই নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দু দফায় ২১৫টি উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রথম দফায় ৯৭টি উপজেলায় ১৯ ফেব্রুয়ারি এবংদ্বিতীয় দফায় ১১৭টি উপজেলায় ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণ হবে।
আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যরা যৌথসভা করে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী বাছাই করার মানদণ্ড নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। সংসদ নির্বাচনে ১৪ দল ও জাতীয় পার্টির সঙ্গে আসন ভাগাভাগি হলেও উপজেলা নির্বাচনে এই সমঝোতা থাকবে না।
তবে আওয়ামী লীগ ছাড়া ১৪ দলের কোনো জনপ্রিয় প্রার্থী থাকলে সে বিষয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ শরিক দলের প্রার্থীকেই সমর্থন দেবে।
উপজেলা নির্বাচন স্থানীয় হলেও দলীয় নেতারাই এ নির্বাচনে অংশ নেন। ২০০৯ সালের ২২ জানুয়ারির উপজেলা নির্বাচনেও মহাজোটগতভাবে প্রার্থী বাছাই হয়নি। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ অন্য দলগুলো আলাদা নির্বাচন করেছে। উপজেলা আইন অনুযায়ী, এ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রার্থীর মনোনয়ন দেয়ার সুযোগ নেই। তবে দলগুলো প্রার্থী সমর্থন করতে পারে।