শিক্ষা আইনের আগে এমপিওভুক্তি নয়

স্টাফ রিপোর্টার: শিক্ষা আইন পাসের আগে আর কোনো প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হচ্ছে না। ফলে এমপিওভুক্তির যোগ্যতা থাকলেও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমপিওভুক্তির জন্য আরো অপেক্ষা করতে হবে।

মন্ত্রণালয়সূত্র জানিয়েছে, নতুন প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি এবং এমপিওভুক্ত হওয়ার পর যেসব প্রতিষ্ঠানে নীতিমালা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় শিক্ষার্থী নেই তাদের বিরুদ্ধে শিক্ষা আইনের কাঠামোর মধ্যে থেকে ব্যবস্থা নেয়া যাবে। এ কারণে শিক্ষা আইনের পরেই নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি হবে। সরকারের গত মেয়াদে মন্ত্রী পরিষদের সভায় শিক্ষা আইনে কিছু সংশোধনীর কথা বলা হয়। সে আলোকেই শিক্ষা আইন সংশোধন করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সংশোধনের পর এটি নতুন করে মন্ত্রী পরিষদের সভায় যাবে। পরে এটি সংসদে পাস হবে। দেশে ৩৩ হাজার বেসরকারি হাইস্কুল, মাদরাসা ও কলেজে ৫ লাখেরও বেশি শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। এর মধ্যে ২৮ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৪ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী এমপিওভুক্তির মাধ্যমে বেতন-ভাতার সরকারি অংশ পান। কিন্তু বেশকিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখানে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের সংখ্যা প্রায় সমান। আবার কোথাও শিক্ষার্থীর চেয়ে শিক্ষক সংখ্যা বেশি। ফলে ওইসব প্রতিষ্ঠানে সরকারের অর্থ অপচয় হচ্ছে। শিক্ষা আইন পাসের পর এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাবে। প্রয়োজনে শিক্ষকের এমপিও বহাল রেখে ওই প্রতিষ্ঠানের এমপিও বাতিল করা হবে। ওই শিক্ষকদের অন্য এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হবে। এর ফলে সরকারের অর্থ সাশ্রয় হবে। এভাবে কিছু প্রতিষ্ঠান সমন্বয়ের পর নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হবে। খসড়া শিক্ষা আইনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিভুক্তির অংশে উল্লেখ রয়েছে, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতার সরকারি অংশ প্রাপ্তির জন্য প্রতিষ্ঠানসমূহকে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রাপ্যতা, স্বীকৃতি/অধিভুক্তি, জনবল কাঠামো, কাম্য শিক্ষার্থী, পাবলিক পরীক্ষার কাম্য ফলাফল এবং ব্যবস্থাপনা কমিটি/গভর্নিং বডি ইত্যাদির শর্তসমূহ সরকার কর্তৃক জারিকৃত এমপিও নির্দেশিকা অনুসারে প্রতিপালন করতে হবে। প্রতিষ্ঠান এমপিও বাতিলের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান/শিক্ষক নির্ধারিত যোগ্যতার শর্ত পূরণ না করলে সরকারি বেতন-ভাতার অংশ প্রদান করা যাবে না এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান/শিক্ষকের এমপিও বাতিল করা যাবে। দেশে সর্বশেষ ২০১০ সালের ১৬ জুন ১ হাজার ৬২৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়।