চুয়াডাঙ্গা ছাত্রলীগ দু পক্ষের বিরোধ তুঙ্গে : জামিনে হাজতমুক্ত মোমিনকে বরণ করে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা শহরে প্রবেশ করতেই অপ্রীতিকর ঘটনা
স্টাফ রিপোর্টার: ভয়াবহ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহর। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত থেমে থেমে হামলায় আহত হয়েছেন এক পুলিশ ও এক নারীসহ কমপক্ষে ১০ জন। এদের মধ্যে ট্রাকচালক ও সহকারী চালককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জেলা ছাত্রলীগ সেক্রেটারিসহ অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
ভাঙচুরের শিকার হয়েছে কমপক্ষে ২টি দোকান, ৬টি বাড়ি, মোটরসাইকেল, ট্রাকসহ কয়েকটি অটোরিকশা। এছাড়া জেলা বিএনপি কার্যালয়ে আগুন দেয়া হয়েছে। বিএনপি নেতা লে. কর্নেল (অব.) সৈয়দ কামরুজ্জামান ও খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনার অফিসও ভাঙচুর করা হয়েছে। একের পর এক হামলার খবরে জেলায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে বাড়ি ফেরেন। রাত ৯টা বাজতে না বাজতেই জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়কে নেমে আসে শুনশান নীরবতা। অবশ্য পুলিশি টহলের মধ্যেই চুয়াডাঙ্গা ছাত্রলীগের দু পক্ষের পৃথক স্থান থেকে পৃথক সড়কে মোটরসাইকেল মিছিল বের হয়। এ সময় ছাত্রলীগের সভাপতি শরীফ হোসেন দুদুসহ তাদের পক্ষে মিছিলে সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপুসহ অনেকেই ছিলেন। এ সময় পুলিশ ছিলো থানার সামনে অনেকটা দর্শকের ভূমিকায়। পরে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়। সাড়ে ৮টার দিকে র্যাবের একটি টহল দল জেলা শহরে অবস্থান নেয়।
ঘটনার সূত্রপাত ঘটে গতকাল সন্ধ্যা ৬টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের কেদারগঞ্জস্থ ইম্প্যাক্ট হাসপাতালের সামনে। পূর্বে গ্রেফতারকৃত ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল মোমিন জামিনে হাজতমুক্ত হলে ভিমরুল্লাস্থ জেলখানা থেকে বরণ করে শহরে ফেরার পথে ইম্প্যাক্ট হাসপাতালের অদূরে মোটরসাইকেল বহরে দুটি ককটেল হামলা চালানো হয়। জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিককে লক্ষ্য করে পর পর দুটি ককটেল নিক্ষেপ করা হয় বলে এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। বোমা হামলায় ছাত্রলীগ নেতা অনিক, রিমন, খালিদ, মালেক, রাজু, রোমেলসহ কয়েকজন আহত হন। অবশ্য জেলা ছাত্রলীগ পৃথক বিবৃতিতে এ ঘটনাকে সাজানো নাটক বলে দাবি করে বলেছে, অনিক শান্ত চুয়াডাঙ্গাকে অশান্ত করেছে। একের পর এক হামলা চালিয়েছে।
স্থানীয়রা বলেছেন, মোটরসাইকেল বহরটি জেলখানার সামনে থেকে কেদারগঞ্জ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে স্লোগান দিতে থাকে। তারা ইম্প্যাক্ট হাসপাতালের সামনে পৌঁছুলে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। এ সময় শিয়ালমারী পশুহাট থেকে চুয়াডাঙ্গা শহরে প্রবেশ করা ট্রাকটি ভাঙচুর করা হয়। ট্রাকচালক আলমগীর (২৫) ও হেলপার মানিক (১৮) রক্তাক্ত জখম হন। চুয়াডাঙ্গার হাসানহাটি গ্রামের মৃত সাদেক মণ্ডলের ছেলে আলমগীর ও একই গ্রামের সাবের আলীর ছেলে মানিককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়। পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দোকানে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হলে এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কোর্টমোড়ে বিকে ট্রেডার্সে ভাঙচুর করা হয়। পার্শ্ববর্তী পান্নার রেজা স্টোর নামের চায়ের দোকানে লুটপাট করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। সামনেই পড়ে পুলিশের গাড়ি। পুলিশ পিকআপের দরজা ভাঙচুর করা হয়। এ সময় পুলিশ কনস্টেবল শহিদুল আহত হন। ভাঙচুর থেকে রক্ষা পায়নি কোর্টমোডের ফারুকের দোকানও। হোটেল আল-মেরাজের সামনে একটি অটো ভাঙচুর করা হয়। চুয়াডাঙ্গা শেখপাড়াস্থ জেলা বিএনপি কার্যালয়ে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। ফায়ার স্টেশনের সদস্যরা ছুটে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে নেন। পান্না (রূপছায়া) সিনেমা হলের অদূরেই লে. কর্নেল (অব.) সৈয়দ কামরুজ্জামানের দলীয় কার্যালয়। সেখানে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। অদূরেই বিএনপি নেতা খন্দকার আব্দুল জব্বার সোনার ঠিকাদারি অফিস। সেখানেও চালানো হয় হামলা।
পরবর্তীতে চুয়াডাঙ্গা জিনতলাপাড়ার ওহিদুল ইসলামের ছেলে পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি জাবিদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। ব্যাপক ভাঙচুর করে হামলাকারীরা। দুটি ককটেলও বিস্ফোরণ করা হয়। কম্পিউটার, ফ্রিজ, শোকেচসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। থালাবাসনও ভাঙচুর থেকে রক্ষা পায়নি। জাবিদের মা অভিযোগ করে বলেন, বাড়ি থেকে একটি ল্যাপটপ ও খাটের তোষকের নিচে রাখা নগদ প্রায় ৮০ হাজার টাকা লুট হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা রেলপাড়াস্থ আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড. শফিকুল ইসলাম শফির বাড়িতে হামলা চালানো হয়। ব্যাপক ভাঙচুর ঠেকাতে গেলে অ্যাড. শফির স্ত্রী শাহিদা খাতুন অ্যানি আহত হন। হাতে কোপ লাগে। তাকে হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি ফিরিয়ে নেয়া হয়। জিনতলা মল্লিকপাড়ার তালেবুর রহমানের ছেলে ছাত্রলীগকর্মী হিমেলের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। কম্পিউটার, আসবাবপত্র, ফ্রিজ আলমিরা ভাঙচুর করে। পৌর ছাত্রলীগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোমিনুল হাসানের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তছনছ করা হয় আসবাবপত্র। জানালার পর্দায় ধরিয়ে দেয়া হয় আগুন। একই পাড়ার সজলের বাড়িতেও হামলা চালিয়ে তছনছ করা হয়েছে। রাইস কুকার থেকে শুরু করে ঘরে থাকা আসবাবপত্রের সবই গুঁড়িয়ে দিয়েছে হামলাকারীরা।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি শরীফ হোসেন দুদু এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, অনিক পরিকল্পিতভাবে বোমা হামলার নাটক সাজিয়ে সেসহ তার কথিত বাহিনী শান্ত শহরকে অশান্ত করে সাধারণ মানুষের জানমালের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে। পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি জাবিদ, সাধারণ সম্পাদক সজল এবং সহসভাপতি হাসানের বাড়িতেও হামলা চালিয়ে তছনছ করেছে। লুটপাট করেছে। আসবাবপত্র ভাঙচুরসহ খাবারও মাটিতে ফেলে যে তাণ্ডব চালিয়েছে তার নিন্দা জানানোর ভাষাও হারিয়েছি আমরা। চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনে সোপর্দ করার আহ্বান জানাচ্ছি। একই সাথে পুলিশ প্রশাসনকে নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনেরও অনুরোধ জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক এবং দফতর সম্পাদক তামিম হাসান তারেক যুক্তস্বাক্ষরিত প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার অন্যতম নেতা সদ্য কারামুক্ত মোমিন চুয়াডাঙ্গা জেলা কারগার থেকে মুক্ত হলে তাকে বরণ করে আনার জন্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। জেলা কারাগার থেকে মোমিনকে বরণ করে জেলা শহরে ফেরার পথে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিকের ওপর কেদারগঞ্জ সংলগ্ন ইম্প্যাক্ট হাসপাতালের সামনে সন্ত্রাসীরা হত্যার উদ্দেশে বোমা হামলা চালায়। এতে অনিক গুরুতর আহত হন। সাথে থাকা ছাত্রলীগ নেতা রিমন, খালিদ, মালেক, রাজু, রোমেলসহ কয়েকজন আহত হন। এদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুর রশিদ, রেজাউল করিম, আব্দুল কাদের, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম আসমান, সরকারি কলেজ ছাত্রসংসদের সাবেক জিএস রাশেদুজ্জামান বাকি, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আরেফিন আলম রঞ্জু, যুবলীগ নেতা নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার, সুমন, হাপু, আরিফ, আজাদ, হাসু, লাভলু, জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহসভাপতি রুবাইত বিন আজাদ সুস্তির, সাংগঠনিক সম্পাদক তরিকুল, সদর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি জুয়েল রানা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মানিক, সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি স্বপন, সাধারণ সম্পাদক তানিম হাসান তারিক প্রমুখ।
চুয়াডাঙ্গা পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি জাবিদুল ইসলাম জাবিদ পৃথক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একজন বিতর্কিত ছেলে জামিনে মুক্ত হলে তাকে জেলগেট থেকে শহরে নেয়া হয়। শহরে নেয়ার পথে ইম্প্যাক্ট ফাউন্ডেশনের সামনে থেকে তারা আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য একের পর এক ঘটনা ঘটায়। ককটেল বিস্ফোরণও ঘটিয়েছে তারা। এরপর তারা আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে। আমার অসুস্থ ব্যবসায়ী পিতা ও মাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে হামলাকারীরা। ল্যাপটপ নিয়ে গেছে। লুট করেছে নগদ টাকাও। আমি ওই বর্বরোচিত হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
এদিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি কার্যালয়ে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম। তিনি বিবৃতিতে বলেছেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি কার্যালয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করেছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের দু গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারের ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য জেলা বিএনপি কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটানো হয়। উল্লেখিত হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ক্ষোভ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিবৃতিতে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা তার দলের সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়ে সারাদেশে জুলুম নির্যাতন করছে। তার সর্বশেষ উদাহরণ চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ। তিনি এরূপ জঘন্য অপরাধের সাথে জড়িত আওয়ামী সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এরশাদুল কবীরের সাথে রাতে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেছেন, পুলিশ লাইন থেকে পুলিশের গাড়ি শহরের দিকে আসার পথে ইম্প্যাক্ট ফাউন্ডেশনের অদূরেই হামলার শিকার হয়। হামলায় পুলিশ সদস্য শহিদুল আহত হন। হামলার সময় সেখানে ছাত্রলীগ নেতা অনিকসহ অনেকেই ছিলো। হামলায় পুলিশের গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরামর্শক্রমে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়াও অনিকের ওপর বোমা হামলা হলে সে বিষয়েও মামলা হবে। বাড়ি-ঘর ভাঙচুরের অভিযোগ শুনেছি। তবে রাতে তেমন কেউ বাদী হয়ে মামলা করেনি।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছেন, বেশ কিছুদিন ধরে চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের মধ্যে আভ্যন্তরীণ কোন্দলের বহির্প্রকাশ ঘটতে শুরু করেছে। গত ৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা কোর্টমোড়ের একটি দোকান থেকে মুসলিমপাড়ার সুমনকে ধরে নিয়ে ওয়াপদার মধ্যে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও দু পায়ের রগ কেটে ফেলে রাখা হয়। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো হয়। এ মামলার আসামি আব্দুল মোমিনকে গত ২০ জানুয়ারি সোমবার ফেরিঘাট সড়ক থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সে বড়বাজারপাড়ার মুক্তার বিশ্বাসের ছেলে। তাকে গ্রেফতার করার পর চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অনিকের পক্ষে মুক্তি দাবি জানানো হয়। অপরদিকে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শরীফ হোসেন দুদু আব্দুল মোমিন ছাত্রলীগের কেউ নয় বলে জানিয়ে বিবৃতি দেন। দু দিন ধরে বিবৃতির লড়াইয়ের এক পর্যায়ে গতকাল মোমিন জামিনে মুক্ত হলে জেলগেট থেকে শহরে ফেরার পথেই ঘটলো ঘটনা। গোটা শহর হলো তটস্থ। এর উত্তাপ জেলা বিএনপি কার্যালয়েও গিয়ে পড়লো। পরিস্থিতি গতরাতে পুলিশের নিয়ন্ত্রণে ছিলো বলে পুলিশের তরফে জানানো হলেও শহর জুড়ে ছিলো আতঙ্ক।