স্টাফ রিপোর্টারি: বাহারা বেগম, ফিরোজা খাতুন, সালমা, মধুবালা ও সুলতাদের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গায় এক বাসযাত্রীর গলা থেকে সোনার চেন চুরির অভিযোগে বাহারা বেগমসহ তাদের দলের ৫ জনকে ধরে পুলিশে দেয়া হয়। চুয়াডাঙ্গার কেদারগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে ৫ নারীকে আটক করে স্থানীয়রা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদও করে।
পরিছন নেছা চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার রুইথনপুর গ্রামের আবু হোসেনের স্ত্রী। তিনি অভিযোগ করে বলেছেন, বাসে আমার পাশে ওরা ঘেষাঘেষি করে বসেছিলো। আমি যখন গায়ের চাঁদর ভালো করে গায়ে দিচ্ছিলাম, তখনই আমার গলা থেকে সোনার চেনটা ছিড়ে নেয়। বাসের মধ্যেই ওদের কাছে সোনার চেন চাই। ওরা আমতা আমতা করে। বাসটি কেদারগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে থামলে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ৫ নারীকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়া হয়।
বাসের যাত্রী সেজে বাসযাত্রীর গলার চেন কৌশলে খুলে নেয়ার অভিযোগে আটক ৫ নারী পরিচয় দিতে গিয়ে বলেছে, তাদের সকলেরই বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে। এরা হলো- বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী বাহারা বেগম (৩৭), জামাল উদ্দীনের স্ত্রী ফিরোজা বেগম (২০), বিল্লাল হোসনের স্ত্রী সালমা খাতুন (২০), আবেদ আলীর স্ত্রী মধুবালা (২৬) ও কুকন মিয়ার স্ত্রী সুলতা (১৮)। আটকের পর ৫ মহিলাকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় নিয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরা জীবননগর এলাকায় এক আত্মীয় বাড়ি বেড়াতে এসেছে বলে জানালেও সোনার চেনটা বাসযাত্রী পরিছন নেছার গলা থেকে খুলে কীভাবে কার মাধ্যমে দ্রুত সরিয়ে দেয়া হলো? এ প্রশ্নের জবাব দেয়নি।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এসআই আতিকুর রহমান বলেছেন, পরিছন নেছা বাদী হয়ে সোনার চেন চুরির অভিযোগ তুলে ৫ নারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। ৫ নারী সম্পর্কে প্রাথমিক খোঁজ খবরও নেয়া হয়েছে। সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ইন্সপেক্টর এরশাদুল কবীর বলেছেন, ৫ নারী সম্পর্কেই শুধু খোঁজখবর নেয়া হয়নি, নাসিরনগর সম্পর্কেও খোঁজ নিয়ে আমরা ইতোমধ্যেই জেনেছি ওই গ্রামের অনেকেই এ ধরনের ভ্রাম্যমাণ চোর। বাস-ট্রেনে সংঘবদ্ধভাবে ঘুরে কৌশলে চুরি করে। মূল্যবান মালামাল চুরি করে দ্রুত ওদের পুরুষ সদস্যের মাধ্যমে সরিয়ে দেয়। ওদের পুরুষ সদস্যদের ধরার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।