অবৈধভাবে মজুদ রাখা ইউরিয়া সার জব্দ : ৩০ হাজার টাকা জরিমানা
দর্শনা অফিস: জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা দর্শনায় অভিযান চালিয়েছে। জব্দ করেছে অবৈধপন্থায় গোডাউনজাতকৃত সাড়ে ৩শ বস্তা ইউরিয়া সার। এ অপরাধে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ভ্রাম্যমাণ আদালতে গোডাউন মালিককে করা হয়েছে জরিমানা। আগাম ইরি-বোরো মরসুমে সারের চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। এ চাহিদা পূরণসহ অতিরিক্ত মূল্যে সার বিক্রির লক্ষ্যে অনেক সার ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ইউরিয়াসহ বিভিন্ন ধরনের সার মজুদ করার অভিযোগ রয়েছে। দর্শনা বাসস্ট্যান্ডের কৃষান ট্রেডার্সের গোডাউনে ইউরিয়া সার মজুদ রাখা হয়। এ গোপন সংবাদে জানতে পারেন চুয়াডাঙ্গার জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার উপপরিচালক আবু জাফর ইকবাল। গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা এনএসআই’র উপপরিচালক আবু জাফর ইকবালের নেতৃত্বে সহকারী পরিচালক আক্তারুজ্জামান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালান কৃষান ট্রেডার্সের গোডাউনে। এনএসআই’র টিম গোডাউন থেকে জব্দ করে সাড়ে ৩শ বস্তা ইউরিয়া সার। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৩ লাখ টাকা। অবৈধপন্থায় সার গোডাউনজাত করার অপরাধের বিচারের জন্য খবর দেয়া হয় দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদুর রহমানকে। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছান ফরিদুর রহমান, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃপাংশু শেখর বিশ্বাসসহ কর্মকর্তাগণ। বেলা ১টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে বসে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অবৈধপন্থায় প্রচুর পরিমাণ সার রাখার অপরাধে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের আদালতে কৃষান ট্রেডাসের মালিক হাজি নজরুল ইসলামকে আবশ্যকীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৫৬ এর ৩ ধারায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে, হাজি নজরুল ইসলামের কাছে এ সার বিক্রি করেন দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা বসু ট্রেডার্সের দুর্গাচরণ বসু বরুণ। দামুড়হুদার আবু হানিফ ট্রেডার্স থেকে বরুণ এ সার কিনে হাজি নজরুল ইসলামের কাছে বিক্রি করেছেন। তবে বরুণ তার বিরুদ্ধে আনা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আবু হানিফ ট্রেডার্সের মালিকের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।