মেহেরপুরের চাষিরা ভুট্টা চাষে ঝুঁকে পড়েছেন

 

মাজেদুল হক মানিক/মহসিন আলী: পোল্ট্রি ও গো-খাবারের চাহিদা বাড়ায় দিন দিন বেড়েই চলেছে ভুট্টার কদর। আর অন্য ফসলের চেয়ে লাভজনক হওয়ায় মেহেরপুরের চাষিরা ঝুঁকে পড়েছেন ভুট্টা চাষে। তবে নির্ধারিত দাম না থাকায় প্রতি বছরই চাষিরা বড় অঙ্কের মুনাফা হারাচ্ছেন। লাভের একটি বড় অংশ চলে যাচ্ছে পুঁজিপতিদের হাতে। ফসল উত্তোলনের আগে দাম নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন ভুট্টা চাষিরা।

জেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, ভুট্টাচাষের সমারোহ। এক সময় যেখানে শুধু ধানচাষ হতো এখন সেখানে ভুট্টা চাষের দেখা মিলছে। ভালো ফলন, ফসলের চাহিদা এবং ভুট্টাগাছ থেকে জ্বালানির চাহিদা পূরণ হওয়ায় মেহেরপুরের চাষিরা এখন বেছে নিয়েছেন ভুট্টা আবাদ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এবার ৪ হাজার ২২৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টা আবাদ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। গত বছর আবাদ হয়েছিলো ২ হাজার ৭৬০ হেক্টর জমিতে। হাইব্রিড জাতের ৯০০ গোল্ড ও উত্তোরণ ভুট্টার আবাদ বেশি। হেক্টর প্রতি ফলন নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ মেট্রিক টন। সে হিসেবে ৩৮ হাজার ২৫ মেট্রিক টন ভুট্টা উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। পূর্বমালসাদহ গ্রামের চাষি কামরুজ্জামান জানিয়েছেন, গত বছর ভুট্টার দাম নিয়ে চাষিরা বিপাকে পড়েছিলেন। মরসুমের শুরুতে যা দাম ছিলো তা কৃষকের খরচই ওঠেনি। পরে ৬শ থেকে ৮শ টাকা পর্যন্ত মণ বিক্রি হয়েছে। তখন চাষিদের ঘরে ভুট্টা ছিলো না। তাই এবারের মরসুমের শুরুতেই দাম যদি ভালো পাওয়া যায় তাহলে লাভ পাওয়া যাবে। কেননা গত কয়েক বছরের চেয়ে এবার ভালো ফলন আশা করছেন চাষিরা। একেবারেই অল্প খরচ অর্থাৎ ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা বিঘাপ্রতি খরচ করে ফলন পাওয়া যায় ৪০-৫০ মণ। এটি ছয় মাসের ফসল (কার্তিক-চৈত্র)। একই সময় ধান আবাদ করে ভুট্টার সমপরিমাণ লাভ মেলে না, বিধায় অনেক চাষিই এখন ভুট্টা আবাদ করছেন।