মাথাভাঙ্গা ডেস্ক: চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গায় রংধনু শিক্ষাদান কেন্দ্রের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
একতাই শক্তি, একতাই বল- এ কথাটি আবারও প্রমাণ করলেন চুয়াডাঙ্গা রংধনু শিক্ষাদান কেন্দ্রে শিক্ষার্থীরা গরিব-দুস্থ শীতার্তদের মাঝে তিনশতাধিক শীতবস্ত্র বিতরণ করে। গতকাল রোববার দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষাদান কেন্দ্রের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এ শীতবস্ত্র বিতরণ করে। শীতবস্ত্র বিতরণের এক ফাঁকে শিক্ষার্থীদের সাথে আলাপকালে জানা যায়, রংধনু শিক্ষাদান কেন্দ্রের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা তাদের নিজ উদ্যোগে নিজেরা চাঁদা দিয়ে শীতবস্ত্র কিনে শীতার্থদের মাঝে বিতরণ করে। বিভিন্ন এলাকার দুস্থ-গরিব শীতার্তদের খুঁজে বের করে তাদের মঝে এ শীতবস্ত্র বিতরণ করে। আর পাশ থেকে অনুপ্রেরণাসহ যাবতীয় সহযোগিতা করেছে রংধনু শিক্ষাদান কেন্দ্রের পরিচালক আব্দুস সালাম।
রংধনু শিক্ষা দান কেন্দ্রের পরিচালক আব্দুস সালাম জানান, রংধনু শিক্ষাদান কেদ্রের শিক্ষার্থীরা শুধু শিক্ষার ভেতরেই সীমাবদ্ধ থাকে না, তারা মেধাবী শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহযোগিতাসহ বিভিন্ন সামজিক কাজের সাথে সম্পৃক্ত। সামনের দিনগুলোতে যেন রংধনু এ ধারা অব্যাহত রাখতে পারে এজন্য সকলের নিকট দোয়া কামনা করেন।
এদিকে, জামায়াতে ইসলামী চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার উদ্যোগে জেলার বিভিন্ন স্থানে ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে দুস্থ ও শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আলমডাঙ্গা উপজেলার সদর ও হাটবোয়ালিয়াসহ বিভিন্ন গ্রাম, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর, তিতুদহসহ বিভিন্ন এলাকা, দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা, কার্পাসডাঙ্গাসহ বিভিন্ন গ্রাম ও জীবননগর উপজেলার হাসাদহ, উথলী, আন্দুলবাড়িয়াসহ বিভিন্ন এলাকা। উপস্থিত ছিলেন- জেলা শিবিরের সাবেক ছাত্রনেতা জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মো. রুহুল আমিন। উপস্থিত ছিলেন- দর্শনা পৌর আমির আব্দুল কাদের, দামুড়হুদা উপজেলার আমির নায়েব আলী, জীবননগরের থানা আমির অধ্যাপক খলিলুর রহমান, জীবননগরের নায়েবে আমির মাও. মহিউদ্দিন প্রমুখ।
আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতার্তদের মাঝে বিভিন্ন এলাকায় কম্বল ও চাদর বিতরণ করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আলম গত তিন দিন ধরে গরিব দুস্থদের মাঝে কম্বল ও চাদর বিতরণ করেন। গতকাল সকালেও তিনি আলমডাঙ্গা উপজেলা চত্বরে নিজ হাতে শীতার্তদের মাঝে ৬০টি কম্বল ও চাদর বিতরণ করেন। আলমডাঙ্গা উপজেলার সকল ইউনিয়নে মোট ৩০০ কম্বল চেয়ারম্যানদের কাছে ভাগ করে দেন। এছাড়াও তিনি আশ্রম প্রকল্পে ৪৫টি, এতিমখানায় ৫টি, মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ২০টি। সর্বমোট ৩৬৫টি কম্বল ও ৪৭টি চাদর। এর মধ্যে ২০টি কম্বল এলজিইডি থেকে দেয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন- সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীনুজ্জামান, নিবার্চন অফিসার মোস্তফা ফেরদৌস, উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, কৃষি অফিসার হাসিবুল ইসলাম প্রমূখ।
দামুড়হুদা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দামুড়হুদায় ঝুঁকিপূর্ণ রেললাইনে কর্মরত (দর্শনা হল্টস্টেশন থেকে চুয়াডাঙ্গার গাইদঘাট পর্যন্ত) ৩২ জন আনসার সদস্যের মাঝে শীতবস্ত্র ও পোশাক বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেল ৪টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদুর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে কম্বল, জুতো ও মোজা বিতরণ করেন। উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মওলা করিম, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের সমন্বয়কারী তানভির আহম্মেদ রুবেল, আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের দামুড়হুদা শাখা ব্যবস্থাপক মকবুল হোসেন, আনসার কামন্ডার মিজানুর রহমান ও মজিবার রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
হরিণাকুণ্ডু প্রতিনিধি জানিয়েছেন, হরিণাকুণ্ডুতে শীতার্তদের মাঝে কম্বল, ঢেউটিনসহ নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়। বিভিন্ন ইউনিয়নের অসহায় ব্যক্তির মাঝে এ সকল দ্রব্য বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা পরিষদের অস্থায়ী চেয়ারম্যান সাজেদুল ইসলাম টানু মল্লিক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আশরাফুল আমীন, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা নিরঞ্জরন চক্রবর্তী ও বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানে ২০ জন অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাসহ ১০ জন প্রতিবন্ধীকে কম্বল, ২২ জন দরিদ্র ব্যক্তির প্রত্যেককে এক বান্ডিল ডেউটিন ও নগদ তিন হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়।