চুয়াডাঙ্গায় ক্ষুদে ডাক্তার কর্মকৌশল বাস্তবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তারা

আজকের ক্ষুদে ডাক্তাররাই আগামী দিনের বড় ডাক্তার

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় ক্ষুদে ডাক্তার কর্মকৌশল বাস্তবায়ন কর্মসূচি শুরু হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা ১২টার দিকে সদর উপজেলার দৌলাতদিয়াড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে জেলা পর্যায়ে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. খোন্দকার মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আনজুমান আরা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রশাসন) ডা. মাহমুদ হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা, শাহাদাত হোসেন লিটন, সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দিন আহমেদ ও আব্দুর রহমান। বক্তব্য রাখেন- সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মীর্জা গোলাম মোহাম্মদ বেগ। উপস্থিত ছিলেন- জেলা সেনিটারি অফিসার জামাত আলী, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা রবজেল হোসেন, জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক আব্দুর রাজ্জাক, ইপিআই সুপারভাইজার আব্দুর রাজ্জাক ও প্রধান শিক্ষক রেজাউল কবিরসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীরা।

অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির নির্বাচিত ১৮ ক্ষুদে ডাক্তারের সাথে অতিথিবৃন্দের পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মাহমুদ হাসান বলেন, কোমলমতি শিশুরা সুস্থ থাকলেই সুস্থ মানসিকতা গড়ে উঠবে, শিক্ষার মান উন্নত হবে। আজকের ক্ষুদে ডাক্তাররাই আগামী দিনের বড় ডাক্তার হবে। কর্মকর্তারা জানান, জেলার প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পর্যায়ক্রমে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। এজন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ক্ষুদে ডাক্তারদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হবে।

দৌলাতদিয়াড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদে ডাক্তাররা হচ্ছে- আয়েশা সিদ্দিকা সুরভী, আফসানা মীম আন্নি, সিনথিয়া তাবাসসুম তামান্না, উম্মে হাবিবা সম্পা, সুরুজ হোসেন, আয়েশা খাতুন, ফারিয়া খান মার্মী, জান্নাতুল ফেরদৌস জীম, জেসমিন খাতুন, নুর হোসেন, শিহন আকবর, তন্ময় হাসান লিখন, মোছা. হাফছা, সোনিয়া খাতুন, সাব্বির হোসেন রবিন, রিয়াদ হোসেন ,শ্যামলী খাতুন ও নাজনীন খাতুন। এরা সকলেই তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

মুজিবনগর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, শিশুকালে পুষ্টিহীনতায় অনেকেই মেধাশূন্য হয়ে পড়ে। তাই এখন বিদ্যালয় থেকেই শিশুর অপুষ্টি চিহ্নিত করা হবে। পুষ্টি চাহিদা পূরণে নেয়া হবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যথেকে নির্বাচিত ক্ষুদে ডাক্তাররা প্রতিটি বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন কার্যক্রম চালাবে। উচ্চতা অনুযায়ী ওজন পরিমাপ এবং চোখের দৃষ্টিশক্তি পরীক্ষা এ কার্যক্রমের অন্যতম দিক। এ লক্ষ্যে প্রায় সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ওজন পরিমাপের যন্ত্র সরবরাহ করা হয়েছে। বিশ্ব হাতধোয়া দিবস, স্বাস্থ্য দিবস, জাতীয় টিকাদান ও ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনসহ বিভিন্ন বিষয়ে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে ক্ষুদে ডাক্তারা। গতকাল রোববার দুপুরে মুজিবনগর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদে ডাক্তারের কার্যক্রম উদ্বোধনকালে এ তথ্য দেন মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা. হাসান আলী। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আফিলউদ্দীন ও সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর যৌথভাবে এ কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে  জানা গেছে।