মাথাভাঙ্গা মনিটর: দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বশেষ দুটি ওয়ানডে সিরিজে আহমেদ শেহজাদের ব্যাট কথা বলেছে, টেস্টে বলবে না কেন? শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আবুধাবিতে অভিষেক টেস্টের দুই ইনিংসে করলেন ৩৮ ও ৫৫। খারাপ নয়। কিন্তু নিজের প্রতিভার বিচারে এ সংগ্রহে তুষ্ট হওয়া মুশকিল। শেহজাদ নিশ্চয়ই হননি। তবে এবার তৃপ্ত হতেই পারেন। তৃতীয় টেস্টেই ছুঁয়ে ফেললেন প্রথম শতক। খেললেন ১৪৭ রানের অনবদ্য এক ইনিংস।
শেহজাদের শতক আর খুররম মনজুরের অর্ধশতকেও শারজা টেস্টের তৃতীয় দিনেও লাগাম মুঠোয় পুরতে পারেনি পাকিস্তান। তৃতীয় দিনে পাকিস্তান রান তুলেছে ২৭২, খুইয়েছে ৬ উইকেট । এখনো পিছিয়ে ১৩৬ রানে। লঙ্কানদের মধ্যে সবচেয়ে সফল রঙ্গনা হেরাথ, নিয়েছেন ৩ উইকেট; এ ছাড়া শামিন্দা ইরাঙ্গা নিয়েছে ২টি উইকেট।
শেহজাদ ও মনজুরের উদ্বোধনী জুটি দারুণ সূচনা এনে দিয়েছিল পাকিস্তানকে। দুজনের যুগলবন্দীতে আসে ১১৪ রান। ১১৪ থেকে ১৮৯—৭৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে পাকিস্তান। এ পর্যায়ে উইকেটে আসেন অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক। শেহজাদকে সমর্থন দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যান ইনিংসের চাকা। দুজনের চতুর্থ জুটিতে আসে ৫৪। হেরাথের বলে শেহজাদ বোল্ড হওয়ার পর ফের চাপ। ২৪৫ থেকে ২৯১—৪৬ রানে আবারও ৩ উইকেট হাওয়া। দিনের শেষ বলে সরফরাজের উইকেট হারানোর পর লেজ বেরিয়ে পড়েছে পাকিস্তানের। যদিও অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক ৩৬ রানে আঁঁকড়ে রয়েছেন উইকেট। আগামীকাল সতীর্থদের সমর্থনের ওপর নির্ভর করছে মিসবাহ ও পাকিস্তান ইনিংসের অবশিষ্ট অধ্যায়।
ড্র করলেই সিরিজ জয়, সে চিন্তাতেই কিনা প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কা রান তুলল শম্বুক গতিতে। জেতার তাড়না থাকা সত্ত্বেও পাকিস্তানও ওভারপ্রতি খুব বেশি তুলতে পারল না, রানরেট ৩.০৪। টেস্টের আয়ু অবশিষ্ট রয়েছে আর দুই দিন। সিরিজ রক্ষা করতে হলে শেষ দুই দিনে সব বিভাগেই ‘অসাধারণ’ কিছু করে দেখাতে হবে পাকিস্তানকে।