স্টাফ রিপোর্টার: নীলফামারীতে আসাদুজ্জামান নূরের গাড়িবহরে হামলা, সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার সকাল ৯টার দিকে সদর উপজেলার পলাশবাড়িতে নীলফামারী-ডোমার সড়কের পাশে গোলাম রব্বানীর লাশ পাওয়া যায় বলে সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বাবুল আকতার জানিয়েছেন। রব্বানী সদর উপজেলার লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তিনি ওই ইউনিয়নের দুবাছুড়ি গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে। রব্বানীর পরিবারের অভিযোগ, চার দিন আগেই র্যাবের হাতে আটক হন রব্বানী। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতেই তার মৃত্যু হয়েছে। তবে রাব্বানীকে আটকের খবর অস্বীকার করেছে র্যাব। পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল সাংবাদিকদের বলেন, রাব্বানী কীভাবে খুন হয়েছেন, তা ময়নাতদন্ত ছাড়া বলা সম্ভব নয়। মৃতদেহের ডান গালে, মাথার পেছনে ও গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানান তিনি। রব্বানীর মামা আব্দুল কাদের বলেন, ১৪ ডিসেম্বরের ঘটনার দিন থেকে রব্বানী বাড়িছাড়া। কয়েকদিন আগে সে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় এক আত্মীয়ের বাসায় ছিলো। উল্লেখ্য, যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকরের পর ১৩ ডিসেম্বর শুক্রবার দেশের অন্যান্য স্থানের মতো নীলফামারী সদরের টুপামারী ইউনিয়নের রামগঞ্জ বাজারেও ব্যাপক তাণ্ডব চালায় দলটির কর্মীরা। পরদিন শনিবার ক্ষতিগ্রস্তদের দেখতে নিজ নির্বাচনী এলাকা পরিদর্শনে যান তৎকালীন এমপি বর্তমান সরকারের সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। ফেরার পথে রামগঞ্জে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার গাড়িবহরে হামলা চালায়। এ সময় আওয়ামী লীগ কর্মীদের সাথে তাদের সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে নিহত হন টুপামারী ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা লেবু মিয়া, ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন, তার ছোট ভাই যুবলীগ কর্মী মুরাদ হোসেন ও পথচারী আবু বক্কর ছিদ্দিক। ঘটনার রাতেই পরিদর্শক বাবুল বাদী হয়ে নীলফামারী থানায় একটি মামলা করেন। এতে রব্বানীকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও এক হাজার ৫শ জনকে আসামি করা হয়। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন রব্বানী। তদন্ত কর্মকর্তা বাবুল জানান, মামলার পর বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে এ পর্যন্ত ৪৬ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।