জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া গ্রামের মণ্ডলপাড়ার রাজীব হাসান কর্তৃক ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর মেডিকেল পরীক্ষা গতকাল শনিবার সম্পন্ন হয়। পুলিশ হন্যে হয়ে খুঁজছে ধর্ষক রাজিব হাসানকে। গতকাল পর্যন্ত তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে অর্থবাণিজ্যে মরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দু গ্রপ গতকালও থানায় আসে। তারা তদবিরে লিপ্ত। কী করে ধর্ষককে বাঁচিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়া যায়। এ দৃশ্য দেখে এলাকাবাসী নেতাদের ওপর চরম নাখোশ হয়েছে।
আন্দুলবাড়িয়ার আহাদ আলীর ছেলে রাজীব হাসান বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতিবেশী দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গত রোববার রাতে ধর্ষণ করে। এ ঘটনা প্রকাশ হয়ে পড়লে গত সোমবার রাতভর চলে আপস-মীমাংসার চেষ্টা। আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মুক্তার গ্রুপ শুরু করে মধ্যস্ততা। এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে ধর্ষিতাকে নগদ দু লাখ টাকা এবং পুলিশ, সাংবাদিক ও মানবাধিকার সংস্থাকে ম্যানেজ করতে আরো এক লাখ টাকা দাবি করেন ধর্ষক পরিবারের সদস্যদের কাছে। আপস-মীমাংসার এ বিষয়টি পরের দিন জানাজানি হলে এলাকাবাসীর মধ্যে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। দেখাদেখি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর মকলেছুর রহমান টজো গ্রুপও এগিয়ে আসে। তারাও ঘটনাটি নিজেদের কব্জায় নিয়ে আপস-মীমাংসার মাধ্যমে অর্থবাণিজ্য করতে উঠে পড়ে লাগে। উভয়গ্রুপ এ ঘটনায় তিন দফা সালিসসভা করে। এ অবস্থার মধ্যে পুলিশ শুক্রবার ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে রাখে। মেডিকেল পরীক্ষার জন্য গতকাল তাকে চুয়াডাঙ্গায় নেয়া হয়। কিছু পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার পর ধর্ষিতা বাকি টেষ্ট করতে অস্বীকার করে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ বিষয়ে পত্রিকায় একের পর এক সংবাদ পরিবেশন, পুলিশ প্রশাসন ও মানবাধিকার সংস্থার ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পরও দু গ্রুপ অর্থবাণিজ্য করতে উঠে পড়ে লেগেছে। গতকালও তারা বাণিজ্য সফল করতে থানায় ছুটে আসে বলে জানা গেছে।