চুয়াডাঙ্গা থেকে ফরিদপুরের নারী ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রে নেয়ার আগেই হাসপাতাল ত্যাগ? লিজা নিখোঁজ : চলে গেলো নাকি কেউ নিয়ে গেলো? জবাব নেই

 

স্টাফ রিপোর্টার: লিজা ওরফে লিপাকে আজ শুক্রবার সকালেই ফরিদপুর ট্যাপাখোলার নারী ও শিশু কল্যাণকেন্দ্রে নেয়ার কথা ছিলো। তার আগেই গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে নিরুদ্দেশ হয়েছে সে। কোথায় গেলো? কার সাথে গেলো? কেন গেলো? এসব প্রশ্নের জবাব মিলছে না।

গত ১০ জানুয়ারি শুক্রবার বিকেলে খুলনা থেকে পার্বতীগামী রকেট মেইল ট্রেন থেকে অজ্ঞান অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশনে নামানো হয় ষোড়শীকে। তাকে স্টেশন মাস্টারের সহযোগিতায় চুয়াডাঙ্গা আরামপাড়ার নবিছন হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। চিকিৎসার এক পর্যায়ে জ্ঞান ফেরে। কথা বার্তায় ফুটে ওঠে অসঙ্গতি। বাড়ে কৌতূহল। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে বিভ্রান্তিও ফুটে ওঠে। এক পর্যায়ে চুয়াডাঙ্গা সমাজসেবা অফিসের প্রবেশনাল অফিসার ষোড়শীর পাশে দাঁড়ান। তিনি আদালতের আদেশে নারী ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রে নেয়ার জন্য আবেদন প্রণয়ন করেন। অপরদিকে যুবতীকে নিয়ে কৌতূহলীরা হাসপাতালের ফিমেল মেডিসিন ওয়ার্ডে ভিড় জমাতে থাকে। ফলে শয্যা থেকে সেবিকার কক্ষে নেয়া হয়। সেখানেই ছিলো। গতকাল সকালে অবশ্য তাকে সেবিকার কক্ষের বদলে ২ নং বেডে দেখা যায়। সন্ধ্যায় পাওয়া যায়নি তাকে। কর্তব্যরত সেবিকা স্টাফ নার্স ফিরোজা খাতুন বলেছেন, সন্ধ্যায় চিকিৎসক যখন রাউন্ডে আসেন, তখন চিকিৎসকের সাথে ছিলাম। পরে দেখি লিপা ওরফে লিজা নেই। কোথায় গেছে কার সাথে গেছে জানি না।

লিপা ওরফে লিজা ১০ম শ্রেণির ছাত্রী বলে পরিচয় দিয়ে বলেছিলো তার পিতা খুলনা  মানিকতলার ওজিউল্লাহ দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে ঢাকায় থাকেন। কয়েক বছর ধরে লিপা ওরফে লিজা তার চাচাতো ভাই মনিরুল ও রানার বাড়ি যশোরের খেজুরতলায় বসবাস করে আসছিলো। মধ্যবয়সী এক ব্যক্তির সাথে বিয়ে দিতে চাইলে সে অভিমানে বাড়ি থেকে বের হয়ে ট্রেনে ওঠে। ট্রেনে কয়েক যুবকের সাথে পরিচয় হয়। কয়েক স্টেশনের পর জ্ঞান হারায়। পরে নেয়া হয় হাসপাতালে। সে যে চাচাতো ভাইয়ের মোবাইলফোন নম্বর দিয়েছিলো তাতে যোগাযোগ করেও লিপাকে বাড়ি ফিরিয়ে নিতে দেখা যায়নি। উপরন্ত মোবাইলফোনটি এক পর্যায়ে বন্ধ করে দেয়া হয়। ১৫ বছর বয়সী লিজাকে হাসপাতালে রেখেই চলছিলো নারী ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রে নেয়ার প্রক্রিয়া। এরই মাঝে নিরুদ্দেশ। চলে গেলো নাকি তাকে কেউ ফুঁসলিয়ে নিয়ে গেলো? এ প্রশ্নের জবাব মিলছে না।