মো. শাহাবুদ্দিন: দামুড়হুদা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কৃষকরা চলতি বোরো চাষ মরসুমের ধান রোপণের কাজ শুরু করেছে কৃষকরা। মাঠে মাঠে কৃষকরা জমি প্রস্তুত নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। গত বোরো চাষ মরসুমে কৃষকরা ধান আবাদ করতে বেশ লোকসান গুনতে হয়েছে এবারও লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে বোরো রোপণ শুরু করেছে।
দামুড়হুদা কৃষি অফিস জানায়, চলতি বোরো চাষ মরসুমে ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ৮ হাচার ৮৩৯ হেক্টর জমিতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৩৫ হাজার ৩৫৬ মেট্টিক টন। বীজতলা করা হয়েছে ৫৩০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে ১ হাজার ৩৭২ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড জাতের বাকি ৭ হাজার ৪৬৭ হেক্টর জমিতে আবাদ হবে। তবে ভুট্টা আবাদ বেশি হওয়ায় বোরো আবাদ কম হচ্ছে। গত মরসুমে চাষিরা এক বিঘা ধান আবাদ করতে খরচ হয়েছিলো ১৫-১৬ হাজার টাকার ওপরে প্রতিবিঘা লোকসান হয়েছিলো ৪-৫ হাজার টাকা। এরপরও চাষিরা অনেক আশা নিয়ে ধান আবাদ শুরু করেছে। বীজতলা ভালো হয়েছে। কোনো বীজতলা নষ্ট হয়নি।
দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি গ্রামের চাষি নজরুল ইসলাম জানান, তিনি এ বছর ৮ বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করবে। লাভ হোক না হোক ধান আবাদ করতেই হবে। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভালো ফলন পাওয়া যাবে। জয়রামপুর গ্রামের চাষি হাফিজুর রহমান জানান, এ বছর তিনি ৩ বিঘা জমিতে উফশি জাতের বোরো আবাদ করবে। গত বছর ধান আবাদ করে বেশ লোকসান হয়েছিলো। এ বছর লাভের আশা নিয়ে আবাদ শুরু করেছে।
দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃপাংশু শেখর বিশ্বাস জানান, দামুড়হুদা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কৃষকরা ধান রোপণ শুরু করেছে। ইতোমধ্যে চাষিদের মধ্যে বিভিন্ন রকমের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। বিশেষ ইউরিয়া সারের গুঁটি ইউরিয়া ব্যবহারের ওপর বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। গুঁটি ইউরিয়া ব্যবহার করলে সার যেমন কম লাগবে উৎপাদন তেমন বৃদ্ধি পাবে। তিনি সব কৃষককে জমিতে গুঁটি ইউরিয়া সার প্রয়োগের পরামর্শ দেন।