খুলনা থেকে বাড়ি নওয়াপাড়ায় ফেরার বদলে শেষ পর্যন্ত ঠাই চুয়াডাঙ্গা হাসপাতালে সীমান্ত এক্সপ্রেসে অজ্ঞানপার্টি : চিংড়িব্যবসায়ী অজ্ঞান

স্টাফ রিপোর্টার: খুলনা থেকে বাড়ি নওয়াপাড়ার উদ্দেশে পরশু সীমান্তে এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন চিংড়ি ব্যবসায়ী খাইরুল গাজী। অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে তিনি নওয়াপাড়ায় নামতে পারেননি, পৌঁছে গেছেন চুয়াডাঙ্গায়। তাকে গতকাল সোমবার সকালে চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনের জিআরপি স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান।

অজ্ঞান খাইরুল গাজীর পরিচয় প্রথমে অজ্ঞাতই ছিলো। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও কাছে তেমন কিছুই পাওয়া যায়নি তা দেখে তার বাড়িতে খবর দেয়া যায়। তবে তার চুয়াডাঙ্গা ফেরীঘাটপাড়াস্থ আত্মীয় মাহাবুব এবং বাবুর বিশেষ তৎপরতায় দ্রুত পরিচয় মেলে। পরিচয় পাওয়ার আগে অজ্ঞাত পরিচয়ের অজ্ঞান ব্যক্তির চিকিৎসার্থে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন দারিদ্র্য বিমোচন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মানিকুজ্জামান মানিক।

খাইরুল গাজী চিকিৎসা পেয়ে কিছুটা সুস্থ হলেও তিনি বলতে পারেননি তার নিকট থেকে কতো টাকা হাতিয়ে নিয়েছে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা। তবে তিনি বলেছেন, চিংড়ি কেনার জন্য খুলানায় গিয়েছিলাম। কাছে ৫০ হাজার টাকা ছিলো। চিংড়ি না পেয়ে বাড়ি ফেরার জন্য সীমান্ত এক্সপ্রেসে উঠলাম। পাশেই বসে ছিলেন মরুব্বিগোচের এক লোক। তিনি দুটি ডিম কিনলেন। একটি আমাকে দিলেন, অপরটি তিনি খেলেন। এরপর কী হয়েছে আর কিছুই বলতে পারবো না।

খাইরুল গাজীর শয্যাপাশে থাকা নিকটজনেরা বলেছেন, পরশু যখন সীমান্ত এক্সপ্রেসে ওঠেন, তখন তিনি মোবাইলফোনে বাড়িতে জানিয়েছিলেন। রাতের মধ্যে ফিরছে না দেখে খোঁজাখুজি  শুরু করি। মোবাইলফোনে চুয়াডাঙ্গার জামাই মাহাবুবকে বিষয়টি বলি। মহাবাবু খোঁজখবর নিতে গিয়ে স্টেশন থেকে জানতে পারেন, সকলে একজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে ছুটে গিয়ে তিনি খাইরুল গাজীকে দেখে তার বাড়িতে খবর দেন। খাইরুল গাজী নওয়াপাড়ার মৃত শামসুল গাজীর ছেলে।