স্টাফ রিপোর্টার: আন্দুলবাড়িয়া মিস্ত্রিপাড়ার নির্যাতিতা গৃহবধূ নাছরিনের মৃতদেহ তার পিতার গ্রাম নিশ্চিন্তপুরের কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালমর্গে ময়নাতদন্ত শেষে নাছরিনের মা শুকতারা ও ভাই সুমন লাশ গ্রহণ করেন। অপরদিকে নাছরিনের স্বামী গোলাম রসুলকে গতকাল চুয়াডাঙ্গা সদর থানা থেকে জীবননগর থানায় নেয়া হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া মিস্ত্রিপাড়ার মৃত ইন্তাজ আলীর ছেলে গোলাম রসুল পার্শ্ববর্তী নিশ্চিন্তপুরের নূর আলীর মেয়ে নাছরিনের সাথে প্রেম সম্পর্ক গড়ে তোলে। অজানা ঠিকানায় পাড়ি জমিয়ে বিয়ে করে। নাছরিনকে নিয়ে গোলাম রসুল সংসার শুরু করলে তার প্রথম স্ত্রীর সাথে দাম্পত্য কলহ দানা বাধে। নাছরিনকে নানা অজুহাতে নির্যাতন করতে থাকে তার স্বামী। এক পর্যায়ে নাছরিন পিতার বাড়ি ফিরে যায়। কয়েক মাস আগে সুযোগ বুঝে নাছরিনকে আর নির্যাতন করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে গোপনে নিজ বাড়িতে ফিরিয়ে নেয় গোলাম রসুল। এর পর আবারও শুরু করে নির্যাতন। নির্যাতনের পর গতপরশু সন্ধ্যায় নাছরিনকে নেয়া হয় জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। অবস্থা গুরুতর হলে সেখান থেকে রাতেই নেয়া হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। রাত সোয়া ১১টার দিকে মারা যায় নাছরিন। কৌশলে সটকে পড়ার চেষ্টা করে গোলাম রসুল। তাকে ধরে টহল পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। রাতে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা কাস্টডিতে নিয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
খবর পেয়ে হাসপাতালে রাখা লাশের পাশে ছুটে আসেন নাছরিনের মা শুকতারা ও ভাই সুমনসহ নিকটাত্মীয় স্বজন। তারা অভিন্নভাষায় গোলাম রসুলের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে বলেন, মেরে মুখে বিষ দিয়েছে নাকি বিষপানে নাছরিনকে বাধ্য করা হয়েছে তা তদন্ত করে দেখবে পুলিশ। নাছরিনকে দীর্ঘদিন ধরে তার স্বামী গোলাম রসুল নির্যাতন করে আসছিলো। আমরা ওর শাস্তি চাই।