মাথাভাঙ্গা মনিটর: বর্ষীয়ান মার্সেলো লিপ্পিকে শেষ পর্যন্ত খুব সহজেই হারালেন পেপ গার্দিওলা। গত মঙ্গলবার মরক্কোর আগাদির স্টেডিয়ামে ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিলো ইউরোপ-সেরা ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ ও এশিয়ার সেরা ক্লাব গুয়ানঝু এভারগ্রান্ড। শেষ চারের লড়াইয়ে এশিয়ার চীনের ক্লাবটিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে জার্মানির ক্লাবটি। ফাইনালের বল মাঠে গড়ানোর আগে দু দলের আলোচনা ছাপিয়ে দৃশ্যপটে এসেছিল দু দলের দু কোচের সাফল্য। কোচ হিসেবে ইতালিকে ২০০৬ সালের বিশ্বকাপের শিরোপা এনে দেয়া লিপ্পির ক্যারিয়ারটা যেমন সাফল্যে ভরা পেপ গার্দিওলাও কোনো অংশে কম যান না। লিপ্পি দু বছর চীনের এ ক্লাবটির দায়িত্ব নিয়ে দলে এনেছেন আমূল পরিবর্তন। খেলার ধরনটাই তিনি পাল্টে দিয়েছেন। প্রথমবারের মতো এ বছর গুয়ানঝুকে বিশ্ব আসরে তুলেছেন তিনি। ঘরোয়া আসরে শিরোপা এনে দিয়েছেন দুটি। অন্যদিকে এ মওসুমে স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা থেকে এ বছর বায়ার্ন মিউনিখের দায়িত্ব নিয়েছেন গার্দিওলা। বার্সেলোনায় তার সাফল্য সকলের জানা। মিউনিখের দলটির দায়িত্ব নিয়েও তিনি আছেন স্বমহিমায়। এরই মধ্যে বায়ার্ন এ বছরের চারটি শিরোপা জিতেছে। জার্মানির বুন্দেসলীগায় তারা আছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। বছরের পঞ্চম শিরোপা জয়ের মিশনে তারা এশিয়ার দলটিকে এদিন হাতে কলমে ফুটবল শেখালো।
দু দলই এবার প্রথমবারের মতো ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে খেলতে এসেছে। ইউরোপের সেরা হিসেবে কোনো ম্যাচ না খেলেই সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে বায়ার্ন। এ হিসেবে ক্লাব বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই দাপটের সাথে জয় পেলে তারা। এদিন ফ্র্যাঙ্ক রিবেরি, মারিও মানজুকিচ ও মারিও গোতজে ৮ মিনিটের মধ্যে তিন গোল করে দলকে সহজ জয় এনে দেন। তবে লিপ্পির দল গুয়ানঝুর সফলতা এতোটুকু যে, তারা প্রতিপক্ষকে ৪০ মিনিট পর্যন্ত গোল থেকে বিরত রাখতে পেরেছিলো। বায়ার্নের সামনে যেখানে ইউরোপের বাঘা বাঘা দল নাকানি চুবানি খায় সেখানে তাদের জন্য এটা কোনো অংশেই কম নয়। প্রথমার্ধের শেষ পাঁচ মিনিটে ৪০ ও ৪৪ মিনিটে যথাক্রমে রিবেরি ও মানজুকিচ গোল করে বায়ার্নকে এগিয়ে দেন। ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই আবারও আক্রমণ হাঁনে বায়ার্ন। ৪৭ মিনিটের মাথায় ইউরোপের দলটিতে ৩-০ ব্যবধান এনে দেন সাবেক বরুশিয়া ডর্টমুন্ড তারকা মারিও গোতজে।