স্টাফ রিপোর্টার: সাতক্ষীরার দেবহাটায় একটি হিন্দু পরিবারের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করার সময় আবদুল গফফার নামে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে আটক করেছে জনতা। গণধোলাইয়ের পর তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় গোটা এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে । স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এ অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। একই সাথে নিজেদের দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা এ ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে জড়িত নেতা-কর্মীদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দিতে জনতার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি উপজেলার সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নেতৃবৃন্দ প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান।
এদিকে জেলার কদমতলা বাজারে গতকাল রাতে হবিবুর রহমান নামে এক জামায়াত নেতার গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের স্বজন ও দলের জেলা নেতৃবৃন্দের দাবি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সদস্যরা অপহরণের পর তাকে গুলি করে হত্যা করেছে। জেলা জামায়াতের সভাপতি মুহাদ্দিস আবদুল খালেক এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সরাসরি ৱ্যাব সদস্যদের দায়ী করেছেন। জামায়াত নেতার এ অভিযোগ সরাসরি নাকচ করে দিয়েছেন সাতক্ষীরা ৱ্যাব ক্যাম্পের ইনচার্জ মেজর আজিজ। অপরদিকে গতকালও জেলার বিভিন্ন এলাকায় জ্বালাও পোড়াওয়ের পাশাপাশি ধরপাকড় অব্যাহত রয়েছে। গত রাতে ঢাকাগামী একটি পরিবহন থেকে শিবিরকর্মী সন্দেহে ১৬ জনকে আটক করেছে সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ঢাকাগামী একটি বাস তল্লাশি করে তাদেরকে আটক করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আটককৃত ১৬ যুবককে পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। সাতক্ষীরার সার্বিক পরিস্থিতি ভালো নয়।