স্টাফ রিপোর্টার: লক্ষ্মীপুরে র্যাব-পুলিশের গুলিতে বিএনপি-জামায়াতের ৫ নেতাকর্মী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে গতকাল শনিবার লক্ষ্মীপুরের সর্বত্র সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালিত হয়েছে। এদিকে লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. মো. ফয়েজ আহমেদকে (৫৮) র্যাব শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে হত্যা করেছে বলে স্বজনরা দাবি করেছেন। নিহত জামায়াত নেতার লাশ লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়। গত শুক্রবার রাত ১২টার দিকে লক্ষ্মীপুর শহরের উত্তর তেমুহনী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ডা. ফয়েজ আহমেদ হত্যার প্রতিবাদে আগামী মঙ্গলবার জেলাব্যাপি সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে জামায়াত। নিহত জামায়াত নেতার স্বজনরা জানায়, র্যাব সদস্যরা বাসার দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে এবং তাকে ধরে ছাদে নিয়ে যায়। এরপর মারধর ও গুলি করে ছাদ থেকে নিচে ফেলে দেয়। পরে র্যাব সদস্যরা তাদের গাড়িতে করে লাশ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত ডা. জয়নাল আবেদিন বলেন, রাত ১টা ৪০ মিনিটের দিকে একটি গাড়ি এসে মৃতদেহটি হাসপাতলে রেখে যায়। তার মাথায় ও ডান পায়ের ঊরুতে ইনজুরি রয়েছে। হাসপাতালের ডাক্তার, পরিবারের সদস্য ও বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সূত্রে জামায়াত নেতার মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে এ ব্যাপারে কথা বলা সম্ভব হয়নি। শনিবার ১৮ দলের ডাকা হরতালে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা গ্রেফতার আতঙ্কে মাঠে না থাকলেও রাস্তায় কোনো যানবাহন চলাচল করেনি। শহরের দোকানপাট বন্ধ ছিলো। রাস্তায় মানুষের তেমন উপস্থিতি ছিলো না। এমন পরিস্থিতিতে লক্ষ্মীপুরে ছিলো ভীতিজনক অবস্থা। প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত র্যাব-পুলিশের সাথে সংঘর্ষে বিএনপি-জামায়াতের ৪ নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাহাব উদ্দিন সাবুসহ ৫০ জন আহত হন। এদিকে শনিবার দুপুরে শহরের উত্তর তেমুহনীতে র্যাব-পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে জামায়াতের ওই নেতার জানাজা লিল্লাহ জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। এ হত্যার প্রতিবাদে জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি এআর হাফিজ উল্যাহ এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে আগমী মঙ্গলবার লক্ষ্মীপুর জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতালসহ বিভিন্ন কর্মসূচির ঘোষণা দেন।