আলমডাঙ্গা ব্যুরো: অঘটন-ঘটন পটিয়সী সামাদ তালাকপ্রাপ্ত ৩য় স্ত্রীসহ আবারও আটক হওয়ার পর সালিসে ১ লাখ টাকা গচ্চা দিলেন। তালাকপ্রাপ্ত ৩য় স্ত্রীকে তুলে এনে ১২ দিন আটকে রেখে নির্যাতনের এক পর্যায়ে গতকাল রোববার আলমডাঙ্গার এরশাদপুর থেকে পুলিশ তাকে আটক করে। ওই সময় পুলিশ নির্যাতিত সুরাইয়াকে উদ্ধার করে।
জানা গেছে, কুষ্টিয়ার ইবি থানার পাটিকাবাড়ির বিশারত আলীর ছেলে সামাদ আলী (৪৫) বিজিবি সদস্য। তিনি প্রথম বিয়ে করেন আলমডাঙ্গা উপজেলার মাধবপুর গ্রামে। ২য় বিয়ে করেন দর্শনায়। ১ম ও ২য় স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও প্রায় দেড় বছর আগে তিনি ফরিদপুর গ্রামের জান আলীর মেয়ে সুরাইয়া খাতুনকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ৩য় বিয়ে করেন। সে সময় সামাদের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করা হয়। প্রায় ৬ মাস আগে সুরাইয়া খাতুন তাকে তালাক দিয়েছে বলে দাবি করে সামাদ। ১২ দিন আগে সামাদ আলী সুরাইয়া খাতুনকে তার ফুফুর বাড়ি থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে এরশাদপুর গ্রামে তার প্রথম স্ত্রীর বাড়িতে আটকে রেখে নির্যাতন করে বলে সুরাইয়া অভিযোগ করেছেন। সে জানায়, প্রথম প্রথম সামাদ তাকে বলতো মামলায় তার অসুবিধা হবে সেজন্য তাকে আটকে রেখেছে। তাকে বের হতে দেয়া হতো না। সামাদও খুব কম বাইরে যেতো। বাইরে বের হওয়ার সময় সে গেটে তালা মেরে রেখে যেতো। গতকাল সুযোগ পেয়ে সুরাইয়া তার পিতার বাড়িতে সংবাদ পাঠায়। সংবাদ পেয়ে তার পিতা ও ভাই আলমডাঙ্গা থানা থেকে পুলিশ নিয়ে যান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, যখন পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তখন সামাদ ঘর বন্ধ করে সুরাইয়াকে বেধড়ক পেটাচ্ছিলো।
এসআই টিপু সুলতান বলেন, দীর্ঘ ৩৫ মিনিট চেষ্টার পর সুরাইয়াকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। সন্ধার পর থানায় অবস্থানরত সুরাইয়া জানিয়েছে, এ ঘটনায় তিনি থানায় মামলা করবেন। রাত ৯টার দিকে দু পক্ষের লোকজন সালিসে বসে। শেষে সামাদকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। অতো বেশি টাকা দিতে প্রথমে সামাদ অস্বীকার করলেও পরে সকলের চাপে তা মেনে নেয়। সামাদ রাতেই সুরাইয়া খাতুনের পিতাকে ২০ হাজার টাকা দিয়েছে বলে জানা গেছে। আজ সোমবার অবশিষ্ট টাকা পরিশোধ করার কথা রয়েছে