স্টাফ রিপোর্টার: আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করার প্রতিবাদে আজ সারাদেশের সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে জামায়াত। বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পর দেশজুড়ে সংঘাত সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। আজকের হরতালের পক্ষে গতকাল চুয়াডাঙ্গায় তেমন পিকেটিং লক্ষ্য করা যায়নি। তবে মেহেরপুরের গাংনীর পৃথক স্থানে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে স্থাণীয়রা এ ককটেল বিস্ফোরণকে হরতালের পূর্বরাতের নাশকতা বলে মন্তব্য করেছে।
নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুরসহ বিভিন্ন জেলায় পুলিশের সাথে জামায়াত-শিবিরের সংঘর্ষ হয়। নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জে পুলিশের গুলিতে ৫ জন, লক্ষ্মীপুরে র্যাবের গুলিতে একজন, নীলফামারীতে ১ জন জামায়াত নেতাকর্মী নিহত হন। এদিকে হরতালের সমর্থনে গতকাল রাজধানীর মগবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় মিছিল সমাবেশ করেছে জামায়াত-শিবির।
এদিকে মেহেরপুর গাংনী থানা ভবনের দক্ষিণ পাশে শনিবার সন্ধ্যায় একটি ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে। এ কিছুক্ষণ পরে শহরের কাথুলী মোড় ও চৌগাছা বড় মসজিদ এলাকায় আরো দুটি ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে। দুর্বৃত্তরা এ বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে বলে মনে করছে পুলিশ।
স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যা সাতটার দিকে গাংনী থানা কম্পাউন্ডের বাইরে দক্ষিণ দিকে বিকট শব্দে একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেও কোনো আলামত পায়নি। গাংনী থানার ওসি বলেছেন, এটি পটকা বাজি। দুর্বৃত্তরা আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য এটি করেছে। তবে থানাসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এদিকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে গাংনী শহরের কাথুলী মোড়ে রেজা এন্টার প্রাইজের সামনে একটি ককটেল ছুঁড়ে পালিয়ে যায় অজ্ঞাত দুর্বৃত্ত। বিকট শব্দে এলাকা প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। সেলিম এন্টার প্রাইজের স্বত্বাধিকারী সেলিম রেজা জানিয়েছেন, শনিবার সকালে এক যুবক তার কাছে দশ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। দিতে রাজি না হওয়ায় সন্ধ্যায় বোমা নিক্ষেপ করেছে বলে অভিযোগ করেন সেলিম। তবে নিরাপত্তার কারণে তার নাম বলেননি সেলিম। এ ঘটনার কিছু সময় পরে রাত ৮টা একুশ মিনিটের দিকে চৌগাছা বড় মসজিদ এলাকায় আরো একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের ঘটনা তিনটিতে কেউ হতাহত না হলেও চারদিকে আতঙ্ক বিরাজ করছে। গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাছুদুল আলম জানিয়েছেন, এর সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হবে পুলিশ।