ঝিনাইদহ অফিস: ১শ কোটি টাকার দেনা নিয়ে ঝিনাইদহের মোবারকগঞ্জ চিনিকলের ২০১৩-১৪ আখ মাড়াই মরসুম শুরু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে আখচাষি আব্দুল কাদের ও মিল কারখানার ফোরম্যান তমিজ উদ্দীন চিনিকলের ডোঙ্গায় আখ ফেলে এ মাড়াই মরসুমের উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেলোয়ার হোসেনসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ১৯৬৮ সালে আখ মাড়াইয়ের মধ্যদিয়ে প্রথম যাত্রা শুরু হওয়া এ মিলটি বর্তমানে একশ কোটি টাকার পুঞ্জিভূত দেনা মাথায় নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
চলতি মরসুমে ১২০ কার্যদিবসে ১ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ৯ হাজার ৫শ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চিনি আহরণের হার ধরা হয়েছে ৭.৭৫। এ বছর মিল এলাকায় ৮ হাজার একর জমিতে আখ রয়েছে।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম ভারি শিল্প মোবারকগঞ্জ চিনিকলে ২০১১-১২ ও ২০১২-১৩ আখ মাড়াই মরসুমে উৎপাদিত প্রায় ৪৮ কোটি টাকার ৯ হাজার ৭শ ২৮ মেট্রিকটন চিনি অবিক্রিত অবস্থায় মিল গোডাউনে পড়ে রয়েছে। চিনি বিক্রি না হওয়ায় চিনি গলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ঠিকমতো বেতন পাচ্ছেনা এ মিলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। দুর্ভোগের স্বীকার হচ্ছেন আখচাষিরাও। এদিকে মজুদ চিনি গোদামের ধারনক্ষমতা ছাড়িয়ে গেছে। এ অবস্থায় গত বছরের চিনি বিক্রি করতে না পারায় চলতি মরসুমের উৎপাদিত চিনি সংরক্ষণ নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন মিল কর্তৃপক্ষ।
মোবারকগঞ্জ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেলোয়ার হোসেন জানান, মোবারকগঞ্জ চিনিকলে বর্তমানে ৯ হাজার ৭২৮ মেট্রিকটন চিনি মজুদ রয়েছে। যার মূল্য ৪৮ কোটি টাকা। সর্বশেষ ২০১২-১৩ মরসুমে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৭২৭ মেট্রিকটন আখ মাড়াই করে ৯ হাজার ৪০ মেট্রিকটন চিনি উৎপাদিত হয়। কিন্তু উৎপাদিত চিনির বেশির ভাগই অবিক্রিত রয়েছে। ১৯৬৮ সাল থেকে ঝিনাইদহের মোবারকগঞ্জ চিনিকলের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।