স্টাফ রিপোর্টার: সঙ্কট নিরসনে তৃতীয় দফা বৈঠকে প্রধান দু দলের শীর্ষ নেতারা নিজেদের প্রস্তাব তুলে ধরেছেন বলে জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিরোধীদল বিএনপির মুখপাত্র। গতকাল শুক্রবার গুলশানে জাতিসংঘের একটি প্রকল্প কার্যালয়ে এ দু দলের শীর্ষ ৮ নেতা প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, আলোচনা হয়েছে। উনারা কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন। আমরাও আমাদের কথা বলেছি। এখন দলের ভেতরে আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। এরপর প্রায় একই কথা বলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সব দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু, নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আমরা বসেছি। তৃতীয় দিনের মতো এ আলোচনা হলো। সুনির্দিষ্ট কিছু প্রস্তাব আমরা দিয়েছি। তারাও তাদের প্রস্তাব দিয়েছেন। এখন দলীয় ফোরামে বৈঠক করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। তবে কোনো পক্ষ কি প্রস্তাব দিয়েছে- সে বিষয়ে কেউ মুখ খোলেননি।
আওয়ামী লীগের পক্ষে এ বৈঠকে আরও ছিলেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমদ ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভী। বিএনপির প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান ও ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী। বৈঠকে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি নিল ওয়াকারও উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মঙ্গল ও বুধবার জাতিসংঘের বিশেষ দূত অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোর মধ্যস্থতায় বৈঠক করেন আওয়ামী লীগ-বিএনপির শীর্ষ নেতারা। ওই বৈঠকে বিএনপির প্রধান প্রস্তাব ছিলো- সবার আগে নির্বাচনের তফশিল স্থগিত করতে হবে। তা না হলে সংলাপ থেকে কোনো সমাধান আসবে না। তফশিল স্থগিত ছাড়াও পরিবেশ সৃষ্টির জন্য বিএনপির নেতাকর্মীদের মুক্তি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় সচল করে দেয়ার দাবি তোলা হয় দলটির পক্ষ থেকে। পাশাপাশি শুধু তাৎক্ষণিক মুক্তি নয়, আবারও যাতে কোনো মামলায় জড়িয়ে হয়রানি না করা হয় তার নিশ্চয়তা চাওয়া হয়েছে।
তারানকোর উপস্থিতিতে দুদফা বৈঠকে দৃশ্যমান কোনো ফলাফল বেরিয়ে আসেনি। শুক্রবার জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি নিল ওয়াকারের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত তৃতীয় দফা বৈঠক শেষে দু দলের মুখপাত্র জানালেন, তারা উভয়ই কিছু প্রস্তাব তুলে ধরেছেন। এ প্রস্তাবগুলো নিয়ে দলীয় প্রধানের সাথে আলোচনা শেষে সিদ্ধান্তে পৌঁছবেন তারা।