স্টাফ রিপোর্টার: কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে গত বৃহস্পতিবার শেষরাতে কাদের মোল্লার নিজ বাড়ি আমীরাবাদ গ্রামে পিতা-মাতার কবরের পাশে লাশ দাফন করা হয়েছে। এলাকার সাধারণ মানুষ রাতে জানাজায় অংশ নিতে না পেরে গতকাল শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় আমীরাবাদ ফজলুল হক পাইলট ইনস্টিটিউট মাঠে তার গায়েবানা জানাজা পড়েছে। জানাজায় কেন্দ্রীয় জামায়াতে ইসলামী কর্মপরিষদ সদস্য দেলোয়ার হোসেন, আমিরুল ইসলামসহ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি বদরুদ্দীন, ছাত্রশিবির সাবেক সভাপতি ফরিদুল হুদাসহ উপজেলা জামায়াতে ইসলামী ও স্থানীয় প্রায় তিন হাজার জনগণ অংশ নেন। জানাজা চলাকালে কাদের মোল্লার ভাই ভাষানচর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাইনুদ্দিন মোল্লা তার ভাই কোনো অপরাধ করেনি বলে দাবি করেন। তিনি বর্তমান সরকারকে তাদের প্রতি সংবেদনশীল হতে আহ্বান করেন। কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য দেলোয়ার হোসেন বলেন, সরকার মিথ্যা মামলায় তাকে ফাঁসি দিয়েছে। তিনি বলেন, দেশে ইসলামী আন্দোলন প্রতিষ্ঠিত হলে কাদের মোল্লার রক্তের ঋণ শোধ হবে। এ আন্দোলনে তিনি সবাইকে শরিক হওয়ার আহ্বান করেন। কাদের মোলার ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতেই কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে তার নিজ বাড়ি ফরিদপুরের ভাষানচর ইউনিয়নের আমীরাবাদ গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত ১০টা ১ মিনিটে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ার পর সেখান থেকে মাওয়া হয়ে রাত ৩টা ২০ মিনিটে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ভাষানচর ইউনিয়নের আমীরাবাদ গ্রামে লাশ পৌঁছে। সেখানে রাত ৩টা ৩০ মিনিটে কাদের মোল্লার ভাই মাইনুদ্দিন মোল্লার কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। রাত ৩টা ৫০ মিনিটে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা পড়ান ফরিদপুরের টেপাখোলা জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা আবু তালেব। রাত ৪টা ১০ মিনিটের সময় দাফন সম্পন্ন হয়। কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে স্বল্প আয়োজনে জানাজার কাজ শেষে লাশ দাফন করা হয়।