স্টাফ রিপোর্টার: দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কোন্ডা ইউপি চেয়ারম্যান ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক আতিক উল্লাহ চৌধুরীকে (৬৮) পুড়িয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে কোন্ডা ইউনিয়নের দোলেশ্বর এলাকার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশের একটি কাশবন থেকে তার হাত-পা বাঁধা অগ্নিদগ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। গতকাল দুপুরের পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
নিহত আতিক উল্লাহর স্ত্রী সুফিয়া চৌধুরী জানান, তার স্বামী গতকাল সকাল নয়টার দিকে ইটভাটার অফিসে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হন। পরে দুপুর ১২টার দিকে ঢাকায় যাওয়ার কথা বলে ইটভাটার অফিস থেকে বেরিয়ে যান। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন এবং তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল।
আতিক উল্লাহর ছোট ভাই নেওয়াজ চৌধুরী জানান, তার ভাইয়ের ফোনটি বন্ধ থাকায় মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে আত্মীয়স্বজনের বাড়ি ও বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেন। তাকে না পাওয়ায় গতকাল বুধবার বিকেলে ভাতিজা মো. ফারুক চৌধুরী (আতিক উল্লাহ চৌধুরীর ছেলে) দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। সন্ধ্যা সাতটার দিকে লোকমুখে জানতে পারেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশের একটি কাশবনে হাত-পা বাঁধা অগ্নিদগ্ধ লাশ পড়ে আছে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে তারা লাশ শনাক্ত করেন। রাজনৈতিক কারণেই সন্ত্রাসীরা তার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে অপহরণের পর হত্যা করেছে বলে তিনি দাবি করেন।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি জামাল উদ্দিন মীর বলেন, লাশের হাত পা বাঁধা ছিলো। শরীরের অধিকাংশ অংশ পুড়ে লাশ বিকৃত হয়ে গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মিটফোর্ড হাসপাতালমর্গে পাঠানো হয়। তিনি আরও বলেন, কী কারণে কে বা কারা চেয়ারম্যান আতিক উল্লাহকে হত্যা করেছে সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নিহত চেয়ারম্যান আতিক উল্লাহ চৌধুরী একজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি এক ছেলে ও তিন মেয়ের জনক। তার বাড়ি কোন্ডা ইউনিয়নের নতুন বাক্তারচর গ্রামে। তার এটিএন ব্রিকফিল্ড নামে ইটের ভাটার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।