দর্শনা আইসি পুলিশ ও বিজিবির মাদকবিরোধী পৃথক পৃথক অভিযান
দর্শনা অফিস: দর্শনা আইসি পুলিশ ও বিজিবি মাদকবিরোধী পৃথক পৃথক দুটি অভিযান চালিয়েছে। এ অভিযানে পুলিশ এবং বিজিবি উদ্ধার করেছে ফেনসিডিল ও মোটরসাইকেল। গ্রেফতার করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গার রকিকে। রকিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা দায়ের করেছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ডিএসবি সদস্য মুক্তার হোসেনের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দর্শনা পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই মিজানুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মাদকবিরোধী অভিযান চালান দর্শনা হল্টস্টেশন এলাকায়। পুলিশ হল্টস্টেশন-দোস্ত সড়কে চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের কানাপুকুরপাড়ার জালাল উদ্দিনের ছেলে রকির মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। গ্রেফতার করে রকিকে। পুলিশ রকির ব্যবহৃত লাল ও কালো রঙের ফ্রিডম মোটরসাইকেল তল্লাশি চালিয়ে অভিনব কৌশলে সেটিং অবস্থায় ১২ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে।
পুলিশ আরো জানায়, এ সময় কৌশলে পালিয়ে যায় চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের দক্ষিণ হাসপাতালপাড়ার তোফাজ্জেল হোসেন ওরফে তপুর ছেলে মিনারুল ইসলাম ওরফে মিনা। গ্রেফতারকৃত রকি বলেছে, এ ফেনসিডিল তারা চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের বহুল আলোচিত মাদকের খোলা বাজার নামে খ্যাত আকন্দবাড়িয়ার শিরিনা ওরফে শিরি ও ফার্মপাড়ার জুলিয়ার কাছ থেকে প্রতি বোতল সাড়ে তিনশ টাকা হারে কিনে চুয়াডাঙ্গায় নিয়ে যাচ্ছিলো। পুলিশের উপস্থিত টের পেয়ে মিনা কৌশলে পালিয়েছে। এ ঘটনায় এসআই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে গতকালই রাতে রকি ও মিনার বিরুদ্ধে দামুড়হুদা থানায় দায়ের করেছেন মামলা। পুলিশ বলেছে, জুলিয়া ওরফে জুলি ও শিরিনা ওরফে শিরিকে গ্রেফতার করা হবে।
এদিকে গতকালই বেলা ১১টার দিকে দর্শনা বিজিবি ক্যাম্পের হাবিলদার শওকত আলী সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মাদকবিরোধী অভিযান চালান দর্শনা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন রশিক শাহ’র মাজারের সামনের সড়কে। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে ফেনসিডিল ফেলে পালিয়ে যায় মাদককারবারীরা। ঘটনাস্থল থেকে বিজিবি সদস্য ৬১ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করতে পারলেও আটক করতে পারেননি কোনো মাদককারবারীকে।