আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গা-জামজামি সড়কের জামজামি বাজার এলাকায় রাস্তার দু পাশে অবৈধভাবে পাটকাঠির হাট বসানো হয়েছে। ফলে সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়েছে। ফলে স্থানীয়দেরই অনেকে এ হাট স্থানান্তর করে নিরাপদ স্থানে নেয়ার দাবি তুলেছে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা-জামজামি ব্যস্ততম সড়কের জামজামি বাজারে প্রবেশের মুখে রোডের দু পাশে পাটকাঠির হাট বসানো হয়েছে। এমনকি ওই পাটকাঠির হাট সম্প্রসারিত হয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ ভবন চত্বর ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস পর্যন্ত। ফলে চটজলদি কাজ সারতে কেউ ইউনিয়ন পরিষদ ভবন কিংবা ভূমি অফিসে আসা-যাওয়া করতে পারেন না। উপজেলা পরিষদ কিংবা ইউনিন পরিষদ থেকে কোনোরূপ পাটকাঠির হাট নিলাম ব্যতিরেকে ব্যবসা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যিনি জামজামির বাজার নিলাম ডেকে নেন, তিনিই পাটকাঠির বিশাল হাটের মালিক হন বলে জানা গেছে। ব্যস্ততম সড়কের দু পাশ দখল করে সারি সারি পাটকাঠি পালা মেরে রাখা হয়েছে। ফলে সেখানে সড়ক দুর্ঘটনার সমূহ আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রোডে পাটকাঠির ব্যবসা করেন- ভোদুয়া গ্রামের আক্কাস আলী, শরিফপুর গ্রামের মানোয়ার হোসেন, ঘোষবিলা গ্রামের ফারুক হোসেন, মোফাজ্জেল হোসেন, জামজামী বাজারের বজলুর রহমান, ফজলুর রহমান, রহমত আলি, জহির উদ্দীনসহ অনেকে। অভিযেগিকারীরা জানিয়েছেন, পাটকাঠির ভালো ব্যবসার ফলে এলাকার অনেকে এখন স্বাবলম্বী। তারপরও ব্যস্ত সড়কে এ ব্যবসার ফলে সড়ক দুর্ঘটনার আশঙ্কা সৃষ্টি করা হয়েছে। জীবিকার চেয়ে জীবনের দাম অনেক বেশি মন্তব্য করে তারা সড়ক অবমুক্ত করে দিয়ে অন্যত্র পাটকাঠির হাট বসাতে পরামর্শ দিয়েছেন। এ ব্যাপারে তারা ইউপি চেয়ারম্যানসহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা করেছেন।