মিনারুল মালিথা যেভাবে পা বাড়ায় অপরাধ জগতে

 

আলম আশরাফ: কে এই মিনারুল? দামুড়হুদা উপজেলার পোতারপাড়া গ্রামের শামসুর মালিথার তিন ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে দ্বিতীয় ছিলো মিনারুল মালিথা। প্রায় ১যুগ আগে বিয়ে করে মেহেরপুর মুবিজনগর উপজেলার বলিয়ারপুর গ্রামের সোনা মিয়ার মেয়ে শিল্পী খাতুনের সাথে। তার সাথে সংসার টেকেনি বেশি দিন। কয়েক মাসের মাথায় শিল্পীকে তালাক দেয় মিনারল। পরবর্তীতে বিয়ে করে একই উপজেলার মোনাখালী গ্রামের আইজেল আলীর মেয়ে রেবেকা খাতুনের সাথে। সংসার জীবনে আসে তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তান। বছর চারেক আগে বিদেশ যাওয়ার উদ্যোগ নেয়। পিতা শামসুল ইসলাম ও শ্বশুড় আইজেলের নিটক থেকে টাকা-পয়সা নিয়ে বিদেশ যাওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে। পাড়ি জমায় দুবাইয়ে। জাল ভিসা হওয়ার কারণে সেখানে থাকতে পারেনি বেশিদিন। তিনমাস পর দেশে ফিরে আসতে হয় মিনারুলের। বাড়ি ফিরে সাভাবিকভাবে জীবন যাপন শুরু করলেও শ্বশুড়ের কাছে থেকে টাকা নেয়ায় স্ত্রী ও শ্বশুড়ের সাথে বিরোধ বাধে। এক পর্যায়ে রেবেকা খাতুনকে তালাক দেয় মিনারুল। এরপর থেকেই তার শুরু হয় সন্দেহজনক চলাফেরা। পা বাড়ায় অপরাধ জগতে। হয়ে যায় অপরাধ জগতে বাসিন্দা। শুরু করে এলাকায় একের পর এক ডাকাতি, চাঁদাবাজিসহ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। এ জগতে থেকেই আড়াই বছর আগে বিয়ে করে দামুড়হুদা উপজেলার দুলালনগর গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে তাসলিমা খাতুনকে। এরই মাঝে নিজ বাড়িতে খুন হয় হোগলডাঙ্গার মিজান চেয়ারম্যান। মিজান চেয়ারম্যান হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করে পুলিশ মিনারুলকে দু বছর হাজতবাস করে চার মাস আগে জামিনে মুক্ত হয়ে বাড়ি ফেরে মিনারুল।

গ্রামবাসী জানায়, বাড়ি ফিরে সাভাবিক জীবন যাপন শুরু করলেও পিছু ছাড়েনি তার অপরাধ জগতের সঙ্গীরা। আবারও হাত মেলায় চরমপন্থিদের সাথে। দিনে কৃষি কাজ করলেও রাতে যোগযোগ রাখতো চরমপন্থিদলের সদস্যদের সাথে। মিনারুলের ছোট ভাই জালাল উদ্দিন মালিথা জানান, রোববার বিকেলে জুড়ানপুরে বোনের বাড়ি যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের হয়। সকাল ১০টার দিকে জানতে পারি আমার ভায়ের লাশ দামুড়হুদা থানায় রাখা হয়েছে। সেখানে গিয়ে লাশের সনাক্ত করি। আমার ভাই কখন কীভাবে চরমপন্থিদের সাথে মিলিত হয়েছে সে বিষয়ে যেমন জানা যায়নি। কেনই বা তাকে খুন করা হয়েছে সে সম্পর্কেও জানিনা।