স্টাফ রিপোর্টার: দামুড়হুদার লক্ষ্মীপুর বিলদলকাপড়ে নৃশংসভাবে খুন হওয়া হবিবর রহমান হবাবিরে মৃতদেহ দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালমর্গে ময়নাতদন্ত শেষে মৃতদেহ তার ভাই আশরাফুল গ্রহণ করেন। লাশ নিজ গ্রাম আলমডাঙ্গার শিবনগরে নিয়ে গ্রাম্য কবরস্থানে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়।
দামুড়হুদা থানা পুলিশ জোড়া খুনের তদন্ত শুরু করলেও দু দিনে হত্যার নেপথ্য উন্মোচনের তেমন খবর দিতে পারেনি। হত্যার সাথে জড়িত তেমন কাউকে গ্রেফতারও করা সম্ভব হয়নি। গতপরশু সোমবার সকালে দামুড়হুদার লক্ষ্মীপুর বিলদলকার ঘোগার খালের অদূরবর্তী স্থান থেকে হাবিবুর রহমান হাবিব ও দামুড়হুদা পোতারপাড়ার মিনারুল মালিতার ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। মিনারুলের মৃতদেহ ওই দিনই ময়নাতদন্ত শেষে তার নিজ গ্রামে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়। একদিন পর হাবিবের লাশ তার নিজ গ্রামে নিয়ে গতকাল দাফন কাজ সম্পন্ন করার খবর পাওয়া গেছে।
হাবিব মৃত ফাকের আলী ওরফে শাকের আলীর ৮ সন্তানের মধ্যে ছোট। পিতা মারা যাওয়ার পর সে একা হয়ে পড়ে। বিয়ে করে শালিকায় বসবাস শুরু করে। পরে অবশ্য মোচাইনগরেও সে বসবাস শুরু করে। প্রথম স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়। পরে সে বেশ ক’টি বিয়ে করলেও তার ভাইদের তেমন কেউ জানে না। এ তথ্য দিয়ে হাবিবের ভাই আশরাফুল বলেছেন, হাবিব কখন যে কি করতো, কোথায় থাকতো তা আমরা জানতাম না। কীভাবে কখন কোথায় গিয়ে কেন খুন হয়েছে তাও বলতে পারবো না।