স্টাফ রিপোর্টার: জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর জনপ্রশাসনে ব্যাপক রদবদল ও পদোন্নতি চলছে। প্রতিদিনই উচ্চপদস্থ থেকে শুরু করে মাঠ পর্যায়ে পরিবর্তন আসছে। নির্বাচনকালীন সরকারের রুটিনওয়ার্ক করার কথা থাকলেও এ ক্ষেত্রে তা মানা হচ্ছে না। চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুর জেলা পুলিশে বেশ কয়েকজন ইন্সপেক্টরকে বদলি করা হয়েছে তফশিল ঘোষণার পর।
সারা দেশে তফসিল ঘোষণার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় এক হাজার ৮০০ কর্মকর্তার পদোন্নতি ও রদবদল করা হয়েছে। একটি মন্ত্রণালয়ে এক হাজার ৬৯৫ জনের পদোন্নতি দিয়ে বদলি করা হচ্ছে। এছাড়া পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন দফতরে একই ঘটনা ঘটছে। নির্বাচন কমিশন তেমন কোনো যাচাই-বাছাই ছাড়াই সরকার তরফে পাঠানো বেশির ভাগ পদোন্নতি, রদবদল ও ছুটি অনুমোদন করছে। তবে কয়েকটি বদলির আদেশ আটকে দিয়েছে কমিশন। ইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে নির্বাচন কমিশন সচিব ড. মোহাম্মদ সাদিক বলেন, আমাদের কাছে বদলির জন্য আসা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আছে কিনা যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দিচ্ছি। যেসব কর্মকর্তা নির্বাচনী কাজে সম্পৃক্ত তাদের ভোট গ্রহণের ১৫ দিন পর বদলির জন্য বলেছি। প্রশাসনে রদবদল করা হবে কিনা- এমন প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিয়ে তিনি বলেন, যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইসি সূত্র জানায়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর প্রশাসনে রদবদল ও ছুটির ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন নেয়ার বিধান রয়েছে। এ বিষয়টি জানিয়ে তফসিল ঘোষণার পর প্রশাসনে রদবদল না করার জন্য কমিশন থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়। এরপর থেকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও প্রশাসনে রদবদলের ক্ষেত্রে কমিশনকে অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। সবচেয়ে বেশি রদবদল হচ্ছে জেলা পর্যায়ে ও পুলিশ প্রশাসনে।