আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিস আলমসাধু ভর্তি ইউরিয়া সার পাচারের সময় কালিদাসপুর ব্রিজের নিকট থেকে আটক করে। মালিকবিহীন জব্দকৃত ওই সার বিক্রি করে টাকা রাজস্বখাতে জমা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, অবৈধভাবে আলমডাঙ্গা শহর থেকে ইউরিয়া সার ভর্তি ১টি আলমসাধু কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর এলাকায় যাচ্ছে। গোপন সূত্রে এমন সংবাদ পেয়ে কৃষি অফিসার ঘটনাস্থলে পৌঁছে আলমসাধুসহ ২৫ বস্তা ইউরিয়া সার জব্দ করেন। সে সময় আটক করেন আলমসাধুর ড্রাইভারকে। আটক আলমসাধু ড্রাইভার মোনাকষা গ্রামের মৃত হাশেম আলীর ছেলে হাফিজুর রাহমানকে জিজ্ঞাসাকালে জানায়, ১জন অপরিচিত ব্যক্তি চারতলা মোড় থেকে ৪শ টাকায় তার আলমসাধু ভাড়া করেন ২৫ বস্তা সার নিয়ে মিরপুর উপজেলার ইশেলমারি গ্রামের চৌধুরী পাড়ায় পৌঁছে দিতে। সে আরো জানায়, শহরের মের্সাস টুটুল ট্রেডার্স থেকে ২০ বস্তা আর উত্তরা ট্রেডার্স থেকে ৫ বস্তা সার নিয়ে মালিক প্রথমে খাসকররা যেতে বলে, পরে এরশাদপুর গ্রাম থেকে গাড়ি ঘুরিয়ে মিরপুর যেতে বলে। ড্রাইভারের দেয়া তথ্য অনুসারে মের্সাস টুটুল ও উত্তরা ট্রেডার্সে যোগাযোগ করলে মের্সাস টুটুল ট্রেডার্সর মালিক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শাহ আলম বলেন, খাসকররা বাজারের সার ব্যবসায়ী আরজান আলীর ভাই মোয়াজ্জেম হোসেন তার ভায়ের ব্যবসার জন্য সার নিতে আসেন। সে সময় মোয়াজ্জে হোসেনকে উপজেলা আ.লীগের প্রভাবশালী এক নেতার অনুরোধে সার দিয়েছিলাম। ঘূর্ণাক্ষরেও বুঝতে পারিনি মোয়াজ্জেম এ কাজ করতে পারে। সার আটকের পর বহু লোকের ভীড় জমে কৃষি অফিসের সামনে। এ দিকে কৃষি কর্মকর্তা পাচারমুখী সার আটকের কথা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহিনুজ্জামানকে জানালে- তিনি জব্দকৃত সার বিক্রি করে টাকা রাজস্বখাতে জমা দিতে বলেছেন বলে জানিয়েছে।