জীবননগরের আন্দুলবাড়িয়াতেও সারের কৃত্রিম সংকট : দিশেহারা কৃষককূল

 

আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি:- চুয়াডাঙ্গা জীবননগরের আন্দুলবাড়িয়া এলাকাতেও সারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা হয়েছে। চাহিদা মতো সার না পেয়ে কৃষকরা ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে।

কৃষকদের অনেকেই অভিযোগ করে বলেছে, খাটোআবাদ তুলনামূলকভাবে লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা সেদিকে ঝুঁকেছে। ভুট্টাও হয়ে উঠেছে অন্যতম প্রধান অর্থকরী ফসল। এসব আবাদে এখন দরকার সার। অথচ সার মিলছে না। অবরোধের কারণেই সার নিয়ে স্থানীয় ডিলারসহ ব্যবসায়ীদের অধিকাংশই অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নেয়ার কাজে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে।

সার ব্যবসায়ী শহিদুর রহমান ইয়া সার সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন. গতমাসে ২ হাজার ৪শ বস্তা ইউরিয়া সার ডিলার কর্তৃক সরবরাহ করার কথা থাকলেও অবরোধের কারণে মাত্র ৮শ বস্তা সার সরবরাহ করায় এ সংকট দেখা দিয়েছে। চাহিদার তুলনায় ইউরিয়া সার অপ্রতুল হলেও বেচাবিক্রি চলছে সরকার নিধারিত মূল্যে। সূত্র জানায়, লাল সালু টানিয়ে প্রতিবস্তা ইউরিয়া ৮শ, টি এস পি ১১শ, এম ও পি ৭৫০ ও ডিএপি ১৩৫০ টাকা দরে সরাসরি কৃষকদের নিকট বিক্রি করার সরকারি নির্দেশ রয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দোকানের সামনে লাল সালুতে মূল্য তালিকা টানানো নেই। আন্দুলবাড়িয়া মণ্ডলপাড়ার আরিফুল ইসলাম, অনন্তপুর গ্রামের মোল্লা আলতাব হোসেন ফেলা, কর্চ্চাডাঙ্গার ওসমান আলী ও আন্দুলবাড়িয়া দরগাতলাপাড়ার নুর হোসেনের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে. সার ব্যবসায়ীরা সার সংকট দেখিয়ে ইচ্ছা ও খেয়ালখুশি মতো দাম হাঁকিয়ে নিচ্ছে। সকলেই অভিন্ন ভাষায় দাবি করেন, গতকাল ইউরিয়া সার কিনতে গেলে, প্রতিবস্তা ৮৩০ টাকা থেকে ৯শ টাকা, বাংলাদেশ ডিএপি ১৬৫০ থেকে ১৭৫০ ও এম ও পি ৭৭০ থেকে ৮শ টাকা পর্যন্ত নেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জিন্নার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কোথাও সারের সংকট নেই। বেশি মূল্যে সার বিক্রি করার কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে সংশিষ্ট সার ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।