স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলায় বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের জন্য মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যায়ে বই ৮৬ ভাগ এসে পৌঁছালেও মাদরাসা পর্যায়ের কোনো বই এখনো আসেনি। ফলে মাধ্যমিক স্কুল পর্যায়ে বই বিতরণের কাজ শুরু হলেও মাদরাসার বই না আসায় উদ্বিগ্ন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। আগামী ১ জানুয়ারী বিনামূল্যের বই শিক্ষার্থীদের মাঝে তুলে দেয়ার কথা রয়েছে। জেলায় কোনো মাদরাসায় দাখিল ভোকেশনাল বিভাগ না থাকায় কোনো বইয়ের চাহিদাও নেই শিক্ষা বিভাগের। তবে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা খন্দকার মো. আলাউদ্দিন আল আজাদ দাবি করেছেন, আগামী ১২ ডিসেম্বর থেকে মাদরাসা পর্যায়ের বই আসার কথা রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলায় মাধ্যমিক পর্যায়ে বিদ্যালয় রয়েছে ১৪২টি। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ৩২টি, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৫৪টি, দামুড়হুদা উপজেলায় ৩৩টি ও জীবননগর উপজেলায় ২৩ টি। জেলার চার উপজেলায় মাদরাসা রয়েছে ৪০টি। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদরে ১০টি, আলমডাঙ্গায় ১২টি, দামুড়হুদায় ১১টি ও জীবনগরে ৭টি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার চার উপজেলার ১৪২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জন্য জেলা শিক্ষা বিভাগের বইয়ের চাহিদা ছিলো ৯ লাখ ৯৮ হাজার ৬২৯টি। এর মধ্যে বই এসেছে ৮ লাখ ৫৪ হাজার ১৫ টি। প্রাপ্তির হার শতকরা ৮৬ ভাগ। এর মধ্যে সদর উপজেলায় বইয়ের চাহিদা ছিলো ৩ লাখ ৯ হাজার ৮০৪টি। বই পেয়েছে ২ লাখ ৫৭ হাজার ৩৮৫টি। প্রাপ্তির হার শতকরা ৮৩ দশমিক শূন্য ৮ ভাগ। আলমডাঙ্গা উপজেলায় বইয়ের চাহিদা ছিলো ৩ লাখ ২২ হাজার ৬শ’টি। এর মধ্যে বই পেয়েছে ২ লাখ ৬২ হাজার ৮৬৫টি। প্রাপ্তির হার শতকরা ৮১ দশমিক ৪৮ ভাগ। দামুড়হুদা উপজেলায় বইয়ের চাহিদা ছিলো ২ লাখ ৭ হাজার ৮৯০টি। এর মধ্যে বই পেয়েছে ১ লাখ ৯১ হাজার ৭৪০টি। প্রাপ্তির হার শতকরা ৯২ দশমিক ২৩ ভাগ। জীবননগর উপজেলায় বইয়ের চাহিদা ছিলো ১ লাখ ৫৮ হাজার ৩৩৫টি। এর মধ্যে বই পেয়েছে ১ লাখ ৪২ হাজার ২৫টি। প্রাপ্তির হার শতকরা ৮৯ দশমিক ৭০ ভাগ।
চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৪০টি মাদরাসার দাখিল ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির জন্য বইয়ের চাহিদা ছিলো ১ লাখ ৯৭ হাজার ৯৩৫টি। প্রাপ্তির হার শূন্য। ইবতেদায়ি বিভাগে বইয়ের চাহিদা ছিলো ৯৪ হাজার ৮৫৫টি। প্রাপ্তির হার শূন্য। এসএসসি ভোকেশনাল বিভাগে বইয়ের চাহিদা ছিলো ২১ হাজার ৯৯০টি। এর মধ্যে বই পেয়েছে ১০ হাজার ২০৭টি। প্রাপ্তির হার শতকরা ৪৭ ভাগ।
দামুড়হুদা উপজেলায় বিদ্যালয় পর্যায়ে বই বিতরণের কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। দামুড়হুদা উপজেলার মুক্তারপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বখতিয়ার উদ্দিন জানান, ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতিটি ক্লাসের একটি বই বাদে সকল বই পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দিনেশ চন্দ্র পাল জানান, কিছু বই আসা বাকি রয়েছে। বই বিতরণের কাজ শিগগিরই শুরু করা হবে। বিদ্যালয়গুলোতে বার্ষিক পরীক্ষা চলছে। তাই পরীক্ষা শেষ হলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা খন্দকার মো. আলাউদ্দিন আল আজাদ বলেন, বাকী বইগুলো সময়মতো বই পেয়ে যাবো এবং আগামী ১ জানুয়ারী শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ করতে পারবো। মাদরাসার বই আগামী ১২ ডিসেম্বর থেকে ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে আসার কথা রয়েছে।