স্টাফ রিপোর্টার: অবরোধের রাতে চুয়াডাঙ্গা থেকে রোগী নিয়ে রাজশাহীর উদ্দেশে রওনা হয়ে অ্যাম্বুলেন্স আরোহীদের দফায় দফায় গুনতে হয়েছে চাঁদা। সড়কে অবরোধ পিকেটিঙের নামে লাঠিসোঁটা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজন কোথাও আদায় করেছে দেড় হাজার, কোথাও নেয়া হয়েছে দু হাজার টাকা। রোগী দেখেও অবরোধকারী রাতের পিকেটারদের মন গলেনি। টাকা ছাড়া অ্যাম্বুলেন্স ছাড়েনি।
গতরাতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে মেহেরপুরের হারান আলীর ছেলে হিসাব উদ্দীনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। অ্যাম্বুলেন্সযোগে রোগী নিয়ে রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের উদ্দেশে রওনা হন রোগীর লোকজন। কুষ্টিয়া হয়ে লালন সেতু পার হওয়ার পর থেকেই রাতের পিকেটারদের মুখোমুখি হতে হয় অ্যাম্বুলেন্স চালকসহ আরোহীদের। পাবনার মোলাডুলিতে পিকেটাররূপে থাকা চাঁদাবাজদের দিতে হয় দেড় হাজার টাকা। পরের একটি স্থানে একইভাবে পিকেটাররা অ্যাম্বুলেন্সের সামনে আড় হয়ে দাঁড়িয়ে দু হাজার টাকা আদায় করে অ্যাম্বুলেন্স ছাড়ে।
এ ঘটনায় অ্যাম্বুলেন্স চালকসহ আরোহীরা ক্ষোভের আগুনে জ্বলতে থাকে। শেষ পর্যন্ত রাতেই রাস্তায় পিকেটিঙের নামে কীভাবে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে তারা তা মোবাইফোনে মাথাভাঙ্গাকে জানান।