চলছে নীরব চাঁদাবাজি : বিরাজ করছে বোমা আতঙ্ক
দর্শনা অফিস/কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি: কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না চাঁদাবাজচক্রকে। দামুড়হুদার বিভিন্ন পল্লিতে নীরব চাঁদাবাজি ঘটনা ঘটছে। চাঁদার টাকা না দিলেই ঘটছে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা। চাঁদাবাজদের অপতৎপরতা বেড়েছে ব্যাপকভাবে। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে ছড়িয়ে পড়ছে বোমা বিস্ফোরণ ও চাঁদাবাজদের আতঙ্ক। দামুড়হুদা উপজেলার জগন্নাথপুর, বোয়ালমারী, গোচিয়ার মোড়, চন্দ্রবাস, হোগলডাঙ্গা, ভগিরতপুরসহ বিভিন্ন গ্রামে বেশ কিছুদিন থেকে যেন উঠেপড়ে লেগেছে এলাকার চিহ্নিত একাধিক চাঁদাবাজচক্র। এ চক্রের সদস্যরা মোবাইলফোনে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করছে এলাকার প্রভাবশালীদের কাছে। কেউ কেউ সমস্যা দূরীকরণে নীরবে সহ্য করে চাঁদার টাকা পরিশোধ করায় রক্ষা পাচ্ছে ওই চক্রের হাত থেকে। আবার অনেকেই চাঁদার টাকা দিতে আপত্তি জানাচ্ছে। এ টাকা না দিলেই ঘটছে বিপত্তি। ঘটছে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা। গত মাসখানেকের ব্যবধানে চাঁদার টাকা না পেয়ে চাঁদাবাজরা উপজেলার নতিপোতা ইউনিয়নের জগন্নাথপুরের রমজান আলী মেম্বার, পল্লি চিকিৎসক পরিতোষ, কার্পাসডাঙ্গার শিবনগরে করিম, কার্পাসডাঙ্গা বাজারপাড়া হাজি ফজলুল হক, কুড়ুলগাছি ইনু শাহ, ধান্যঘরার নদী বিক্সসহ বেশ কয়েকজনের বাড়িতে বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। বোমা বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও চরম আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী। চন্দ্রবাস গ্রামে একই রাতে ১৭ বাড়িতে গণডাকাতি, কার্পাসডাঙ্গা শিবনগরে ১৪ বাড়িতে ডাকাতি, কার্পাসডাঙ্গা পশ্চিমপাড়ায় ৩ বাড়িতে ডাকাতি, এমআর বিক্সসহ বিভিন্ন গ্রামে ডাকাতি, চুরি, বোমা বিস্ফোরণ, সড়কে ছিনতাইসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে মেতে উঠেছে দুষ্কৃতিরা। একের পর এক ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলেও অজ্ঞাত কারণে এ পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। আসলে কি গ্রেফতার করতে পারেনি নাকি গ্রেফতার করেনি এ নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। চাঁদাবাজ ও ডাকাতচক্রের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে গোটা এলাকার মানুষ। এ চক্রের হাত থেকে নিস্তার পেতে চুয়াডাঙ্গার নবাগত পুলিশ সুপার ও দামুড়হুদা থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জের সুদৃষ্টি কামনা করেছে, ভুক্তভোগী, সচেতন ও আতঙ্কিত এলাকাবাসী।