চুয়াডাঙ্গা বিএনপি ও যুবদলের ঝটিকা মিছিল : ট্রাকে ইটনিক্ষেপসহ সড়কে টায়ারে আগুন
স্টাফ রিপোর্টার: অবরোধের ৫ম দিনে গতকাল ঝিনাইদহে অবরোধকারীদের সাথে পুলিশের তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ গুলি ও রাবারবুলেট নিক্ষেপ করেছে। আন্দোলনকারীরা ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। চুয়াডাঙ্গায় গতকাল জেলা বিএনপি ও যুবদলের একাংশ কৌশলে ঝটিকা মিছিল বের করে। বিএনপির মিছিল থেকে পোস্টঅফিসের সামনে একটি ট্রাকে ইটনিক্ষেপ করা হয়। ট্রাকটি স্থানীয় এক বিএনপি নেতার বলে পরে খবর পাওয়া যায়। স্থানীয় যুবদলের একাংশের নেতা কর্মীরা চুয়াডাঙ্গা বড়বাজার শহীদ হাসান চত্বরে কৌশলে হাজির হয়ে হুট করে মিছিল বের হয়ে কোর্টসড়ক প্রদক্ষিণ করে কেদারগঞ্জের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। গতরাত ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপপুর সড়কে দৌলাতদিয়াড় বঙ্গজের অদূরে সড়কের ওপর টায়ারে আগুন জ্বেলে অবরোধকারীরা তাদের অবস্থান জানান দেয়।
অপরদিকে পুলিশ গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রেখেছে, পলাশপাড়ার পলাশকে গতকাল চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পুলিশ বলেছে, আন্দোলনের নামে ভাঙচুরের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পলাশপাড়ার মৃত আব্দুস সালামের ছেলে পলাশকে গতকাল সকাল ১০টার দিকে ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। মেহেরপুরের কয়েকটি সড়কে অবরোধ করেছে আন্দোলনকারীরা। আলমডাঙ্গায় আন্দোলনকারীরা সড়ক অবরোধ করে রাখে। আন্দোলনকারীরা চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ সড়কের সরোজগঞ্জে সড়কের ওপর বসে অবরোধ করে রাখে।
এক তরফা নির্বাচন বাতিল, গ্রেফতার ও নির্যাতন বন্ধের দাবিতে ১৮ দলের অবরোধের ৫ম দিনে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহীদ হাসান চত্বরে পৌঁছুলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে শহীদ হাসান চত্বরে জমায়েত হয়ে সমাবেশ করে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এম. জেনারেল ইসলাম, ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, শহিদুল ইসলাম রতন, মজিবুল হক মালিক মজু, আবু জাফর মন্টু, মো. ফজলুর রহমান, রবিউল ইসলাম লিটন, আশরাফ বিশ্বাস মিল্টু, মোখলেছুজ্জামান মোখলেছ, আরিফুজ্জামান পিন্টু, তৌফিকুজ্জামান তৌফিক, এমএ তালহা, মঞ্জুরুল জাহিদ, রাজিব খান, সুজন মালিক, মোমিনুর রহমান মোমিন প্রমুখ। পরে আবার মিছিলটি জেলা বিএনপির কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
অপরদিকে গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে জাতীয়তাবাদী যুবদল চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখা একটি ঝটিকা মিছিল বের করে। জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খালিদ মাহমুদ মিল্টন, সদস্য সচিব সাইফুর রশিদ ঝন্টু, সদর থানা যুবদলের আহ্বায়ক মাহাবুল হক, চুয়াডাঙ্গা পৌর যুবদলের আহ্বায়ক হাজি রবিউল হক মল্লিক, দর্শনা পৌর যুবদলের আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন খেদু, যুগ্মআহ্বায়ক সোহেল তরফদার, আছাদ, আব্দুস ছাত্তার, চুয়াডাঙ্গা পৌর যুবদলের যুগ্মআহ্বায়ক মোমিনুর রহমান মোমিন, সদর থানা যুবদলের যুগ্মআহ্বায়ক সাইদুর রহমান, জয়নাল আবেদীন, আব্দুল করিম (জোয়া:), পিন্টু, আলমডাঙ্গা থানা যুবদলের যুগ্মআহ্বায়ক সমসের, উজ্জ্বল খান, জেলা যুবদল সদস্য ঝন্টু, মঈন, মুবা, ইনতাজ, জাহীদুলের নেতৃত্বে মিছিলটি চুয়াডাঙ্গা বড়বাজার চৌরাস্তা থেকে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা বিএনপির কেদারগঞ্জস্থ কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিল শেষে চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবদল তাৎক্ষণিক এক পথসভার আয়োজন করে। পথসভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খালিদ মাহমুদ মিল্টন। সঞ্চালনায় ও উপস্থাপনায় ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবদলের সদস্য সচিব সাইফুর রশিদ ঝন্টু। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্মসম্পাদক মাহামুদুল হক পল্টু। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির দফতর সম্পাদক আবু আলা সামসুজ্জামান, চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হাজি আব্দুল মান্নান, জেলা তরুণদলের আহ্বায়ক মাবুদ সরকার, জেলা ছাত্রদলের যুগ্মআহ্বায়ক শাহজান খান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্মআহ্বায়ক মিজান, মিনহাজ, জেলা তরুণদলের যুগ্মআহ্বায়ক সাইদুর, সদর থানা ছাত্রদলের সভাপতি মাসুদ। উপস্থিত ছিলেন যুবদল নেতা খোকন-১, আরসেদ, আব্দুস ছালাম মনজু, খোকন, জাহিন, শাওন, শিমুল, শাহীন, ফারুক, হবী, শান্ত, বিদ্যুত, সোহেল, আশা, আনোয়ার, ফরিদ, রুবেল প্রমুখ।
ঝিনাইদহ অফিস জানিয়েছে, ঝিনাইদহে বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে তিন পুলিশসহ ১০ জন আহত হয়েছে। ১৮ দলের ডাকা অবরোধের পঞ্চম দিন বুধবার শহরের আরাপপুর বাসস্ট্যান্ডে এ সংঘর্ষ হয়।
ঝিনাইদহ সহকারী পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১২টার দিকে শহরের আরাপপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা অবরোধের সমর্থনে একটি মিছিল বের করে। মিছিলটিতে নেতৃত্ব দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জেলা বিএনপির সভাপতি মসিউর রহমান। মিছিলটি আরাপপুর বাসস্ট্যান্ড ঘুরে সৃজনী ফিলিং স্টেশনের কাছে পৌঁছুলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে মিছিল করার চেষ্টা করে বিএনপি নেতাকর্মীরা। শুরু হয় পুলিশের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়লে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষ চলাকালে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কমপক্ষে ১৫ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ও ১৪ রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। সংঘর্ষে তিন পুলিশ কনস্টেবলসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষের সময় আরাপপুর এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। মুহূর্তের মধ্যে দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনার পর নাশকতারোধে শহরের মোড়ে মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিএনপি দাবি করেছে, পুলিশের গুলিতে তাদের ১০ কর্মী আহত হয়েছে। জেলা বিএনপির সভাপতি মসিউর রহমান বলেন, তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পেছন দিক থেকে পুলিশ হামলা চালিয়ে নেতাকর্মীদের আহত করেছে। তিনি এ হামলার নিন্দা জানিয়ে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের ওপর দমনপীড়ন বন্ধের দাবি জানান। এদিকে জেলার হরিণাকুণ্ডু ও শৈলকুপা থেকে বিএনপির ৩ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন, হরিণাকুণ্ডুর বিএনপিকর্মী আব্দুর রহমান, আসাদ ও শৈলকুপার যুবদলকর্মী বাদল হোসেন। পিকেটিং করার সময় শৈলকুপার ভাটইবাজার থেকে একজন ও হরতালে দোকান ভাঙচুরের অভিযোগে হরিণাকুণ্ডু থেকে দুজনকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
অন্যদিকে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে পুলিশের গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ১৮ দলীয় জোটের ৭৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩শ জনের নামে থানায় মামলা হয়েছে। কালীগঞ্জ থানার এসআই হাবিব সদ্দার বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। পুলিশ জানায়, মামলায় কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্মআহ্বায়ক হামিদুল ইসলাম হামিদ, জামায়াতের কালীগঞ্জ উপজেলা আমির মাও. ওলিয়ার রহমান, সেক্রেটারি শহিদুজ্জামান ও ১৮ দলীয় জোটের ৭৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩শ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, গতকাল আলমডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর বিএনপি আলমডাঙ্গার আলমডাঙ্গা-ঝাউদিয়া-কুষ্টিয়া সড়ক অবরোধ করে। অবরোধে ১৮ দলীয় নেতাকর্মীরা যোগ দেন। পরে আনন্দধাম ব্রিজের ওপর সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুল জব্বার। প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ সাইফুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান পিন্টু, আলমডাঙ্গা জামায়াতের আমির নুর মোহাম্মদ টিপু, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক এমদাদুল হক ডাবু, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান হাসান, দারুস সালাম, বোরহান উদ্দিন, মহিনুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, একরামুল হক বুলু, হাফিজুর রহমান চমক, উপজেলা যুবদলের যুগ্মআহ্বায়ক মাগরিবুর রহমান, পৌর যুবদলের যুগ্মআহ্বায়ক মঞ্জুর ফারুক হোসেন প্রমুখ।
হরিণাকুণ্ডু প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে বুধবার বিএনপির দু কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো হরিণাকুণ্ডু বিএনপিকর্মী আব্দুর রহমান ও আসাদ। হরিণাকুণ্ডু থানার অফিসার ইনচার্জ মহিবুল ইসলাম জানান, হরিণাকুণ্ডু শহর থেকে বুধবার সকাল ১১টার দিকে দোকান ভাঙচুর মামলায় বিএনপিকর্মী আব্দুর রহমান ও আসাদকে পুলিশ গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।
সরোজগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, চুয়াডাঙ্গা সরোজগঞ্জ ১৮ দলের উদ্যোগে অবরোধের ৫ম দিন গতকাল বুধবার সরোজগঞ্জবাজারে বিক্ষোভ মিছিলি বের করা হয়। মিছিলটি সরোজগঞ্জবাজারের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মসজিদ মার্কেটের সামনে রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা জামায়াতের জেলা আমির আনারুল ইসলাম মালিক, সদর থানা আমির আব্দুর রউফ মিয়া, সেক্রেটারি খাইরুল ইসলাম, থানা বিএনপি একাংশের যুগ্মসম্পাদক আব্দুল হান্নান, শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নুরনবী সামদানি, সাধারণ সম্পাদক রুমজান আলী, সহসভাপতি রাইহান উদ্দিন যুগ্মসম্পাদক আব্দুল মান্নান, আব্দুর রাজ্জাক, সদর থানা যুবদল একাংশের আহ্বায়ক মহাবুল হক, যুগ্মআহ্বায়ক আমিরুল ইসলাম লাল, পদ্মবিলা ইউনিয়ন আমির ছানোয়ার হোসেন, শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়ন আমির ওসমান গনি, তিতুদহ ইউনিয়ন আমির রেজাউল করিম, বেগমপুর ইউনিয়ন আমির হুমাউন কবির, কুতুবপুর ইউনিয়ন আমির আব্দুর জব্বার, সরোজগঞ্জ আঞ্চলিক শাখা জামায়াতের সভাপতি মাজাহারুল ইসলাম, পদ্মবিলা বিএনপি একাংশের সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুর রহমান কাজল, যুগ্মসম্পাদক গোলাম সারোয়ার হিমু, যুবদলের সভাপতি মানিক জোয়ার্দ্দার প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মকলেচুর রহমান লিটন। এ সময় চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ সড়কে সরোজগঞ্জ মসজিদ মার্কেটের সামনে ২ ঘণ্টা রাস্তার ওপর বসে পড়ে অবরোধ করে রাখে ১৮ দলের নেতাকর্মীরা।
মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, গতকাল বুধবার অবরোধের ৫ম দিনে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কে মেহেরপুর সদর উপজেলার রাজনগরে সকাল সাড়ে ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি পালন করে। মিছিলে নেতৃত্ব দেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য আঞ্চলিক নেতা আব্দুল মতিন, জেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি ফারুক হুসাইন, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি তারিক মো. সাইফুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির সিরাজুল ইসলাম, সদর থানা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আব্দুর রহিম, জামায়াতের আমঝুপি ইউনিয়নের সেক্রেটারি জাব্বারুল ইসলাম, বারাদী ইউনিয়ন আমির আলামিন হোসেন ও জামায়াত নেতা মহাসিন আলী। অবরোধকারীরা সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয় এবং সড়কে টায়ারে আগুন ধরিয়ে নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করে। এ সময় সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয়। একই সময় একই স্থানে জামায়াত-শিবিরের বিপুল সংখ্যক নারী সমর্থক সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। আব্দুল মতিন বলেন, সরকার অন্যায়ভাবে জেল, জরিমানা, জুলুমসহ নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নেতাকর্মীদের রাতের ঘুম হারাম করে দিয়েছে।
আমঝুপি প্রতিনিধি: মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কের রাজনগর-বারাদী সড়কে এআরবি কলেজ থেকে বারাদী পর্যন্ত গতকাল বুধবার সকাল ৬টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করে রাখে। বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিলসহ মহিলা জামায়াতের পৃথক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। পরে এক সংক্ষিপ্ত জমায়েতে জামায়াতে আমঝুপি ইউনিয়ন সেক্রেটারি আব্দুর জাব্বার শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচিতে কোনো ধরনের বাধা দেয়া হলে তা মেনে নেয়া যাবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।