স্টাফ রিপোর্টার: হরিণাকুণ্ডুতে হরতাল চলাকালে নিহত পুলিশ কনস্টেবল গাজী ওমর ফারুক হত্যামামলার প্রধান আসামি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোতাহার হোসাইনকে মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত দু দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। এ মামলার আসামি মোতাহার হোসাইনসহ মেহেদী হাসান লোকমান, নিজাম উদ্দিন, আজির উদ্দিন ও ঝন্টুকে গতকাল ঝিনাইদহ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশের রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। মোতাহার হোসাইনের পক্ষে অ্যাড. ঠাণ্ডু আলীসহ ঝিনাইদহ বারের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আইনজীবী রিমান্ড আবেদনের বিরোধিতা করে আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষের সিআইএস আইয়ুব হোসেন রিমান্ড মঞ্জুরের যৌক্তিকতা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পারভেজ শাহরিয়ার উভয় পক্ষের শুনানি শেষে মোতাহার হোসাইন ও লোকমানের দু দিনের রিমান্ড এবং অবশিষ্ট তিনজনের জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, জামায়াত আহুত গত ৩ মার্চ হরতাল চলাকালে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় হরতাল সমর্থকদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে হরতাল সমর্থকদের হামলায় পুলিশ কনস্টেবল গাজী ওমর ফারুক নিহত হন। এ ঘটনায় এসআই ফারুক হোসেন বাদী হয়ে জামায়াত-বিএনপির ২২০ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৬ হাজার ব্যক্তির নামে মামলায় দায়ের করেন। হরিণাকুণ্ডু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোতাহার হোসাইন পুলিশ হত্যামামলা ও তার নামে দায়েরকৃত অন্য আরো একটি মামলাসহ দুটি মামলাতেই উচ্চ আদালত থেকে অক্টোবরের প্রথম দিক থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত ছয় সপ্তার জন্য জামিনপ্রাপ্ত হন। জামিনে থাকাকালে পুলিশ গত ৭ নভেম্বর রাতে তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পরে মোতাহার হোসাইনের নামে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে আরো একটি মামলা দায়ের করা হয়।