স্টাফ রিপোর্টার: নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। বললেন, ‘আমি এক শৃঙ্খলিত রাজনীতিবিদ। আজও মামলা শেষ হয়নি। সুরাহা হয়নি। যুদ্ধ করে চলেছি মামলার বিরুদ্ধে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি দলের প্রার্থীদের সোমবার জমা দেয়া মনোনয়নপত্র তুলে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সাবেক এ প্রেসিডেন্ট সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, তোমরা আমাকে বিদ্রুপ করে লিখো না। এরশাদ সাহেব সকালে এক কথা বলে বিকেলে এক কথা বলে, এমন কথা লিখো না। সব কষ্টের কথা বলা যায় না। বলেন, আমি যুদ্ধ করে চলেছি মামলার বিরুদ্ধে। বিচার পাইনি। আমাকে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর বন্দী করা হয়েছিলো বিনা কারণে। বলা হয়েছিলো, কুচক্রী রাষ্ট্রদ্রোহী। আমি কারও কাছে প্রটেকশন চাইনি। অনেক অন্যায়, অবিচার সহ্য করে আমি এতোদিন বেঁচে আছি। আমি না থাকলে জাতীয় পার্টি থাকবে না। আজ সময় এসেছে তোমাদেরকে কিছু কথা বলার। বললাম। আমার দুঃখের কথা বুঝতে হবে তোমাদের। আজ আমি জীবনের শেষপ্রান্তে এসে আমি বলছি আমি স্বাধীন রাজনীতি করতে চাই। আমি জেলের ভয় করি না, মৃত্যুর ভয় করি না। জনগণকে ভালোবাসি। জনগণের জন্য রাজনীতি করি। কারও কাছ থেকে টাকা নিয়ে রাজনীতি করি না। আমার নিজের কিছু নেই। সম্পদ বলতে কিছু নেই। নিঃস্ব হয়ে গেছি রাজনীতি করে। আমি নির্বাচনে যাবো না। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, সব দল অংশগ্রহণ না করলে নির্বাচনে যাবো না। আমি প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছি। আবার যখন পরিবেশ সৃষ্টি হবে, সব দল আসবে, তখন আমি নির্বাচন করবো। নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেয়ার পর দলের যেসব নেতা বেরিয়ে গেছে তাদের ফিরিয়ে নেবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে এরশাদ বলেন, আমি ঠিক পথে ছিলাম। আমার দুঃখের কথা তারা বুঝতে পারেনি। আমি আশা করি তারা ফিরে আসবে। এরশাদ বলেন, আমি দলের কর্মীদের নির্দেশ দিচ্ছি, মনোনয়নপত্র তুলে নেয়ার জন্য। সর্বদলীয় সরকার প্রসঙ্গে এরশাদ বলেন, সর্বদলীয় সরকারটা আমারই প্রস্তাব ছিলো। প্রশ্ন ছিলো প্রধান কে হবে? বিএনপি হাসিনাকে প্রধান হিসাবে মেনে নেয়নি। তাই, তারা নির্বাচনে আসেনি। অনিশ্চিত অবস্থার দিকে চলে যাচ্ছি আমরা। সমস্যার সমাধান কীভাবে হবে আমরা জানি না। এখন বাইরের লোক এসে আমাদের সুপারিশ করে, সমাধানের বুদ্ধি দেয়। এটা অপমানকর।