স্টাফ রিপোর্টার: দিন-রাত নিরলস পরিশ্রম করে রংধনু নামক শিক্ষাদান কেন্দ্রের সুনাম যখন উত্তরাত্তর বেড়েই চলেছে, তখন একাধিক ব্যক্তি বা চক্র একের পর এক চক্রান্ত করে সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে শুরু করেছে। ফেসবুকে ভুয়া পরিচয়ে অ্যাকাউন্ট খুলে, রংধনুর নামের সাথে মিল রেখে কোচিং সেন্টার খুলে মিথ্যাভাবে রংধনুর সাথে সংশ্লিষ্টতা প্রচার লেগেই আছে।
রংধনু শিক্ষাদান কেন্দ্রের প্রাণপুরুষ আব্দুস সালাম যিনি নিজের দক্ষতায় সালাম স্যার হিসেবে সর্বমহল থেকে প্রশংসিত, তিনি বলেছেন, বিভিন্ন সময়ে যারা শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে রংধনু শিক্ষাদান কেন্দ্র থেকে বহিষ্কৃত বা তিরষ্কৃত তারাই নানাভাবে চক্রান্ত করছে। এদের সাথে কিছু মদদদাতা আছেন যারা পেশাগত ঈর্ষায় ভোগেন।
রংধনুর পরিচালক আব্দুস সালাম বলেছেন, রংধনু শিক্ষাদান কেন্দ্রের কোনো শাখা প্রতিষ্ঠান নেই। রংধনুর নামে খাতা ছেপে যারা বিক্রি করেন তাদের সাথেও আমার ব্যবসায়ী সংশ্লিষ্টতা নেই। রংধনু শিক্ষাদান কেন্দ্রের যেহেতু কোনো শাখা নেই, সেহেতু কেউ রংধনুর নামের সাথে কোচিং বা অন্য কোনো শব্দ যুক্ত করে ব্যবসা খুলে বসলে তার দায়দায়িত্ব আমার নয়। তাছাড়া রংধনু শিক্ষাদান কেন্দ্রের যে ক’জন শিক্ষক হিসেবে রয়েছেন তারা অন্য কোনো কোচিং সেন্টারের সাথে সম্পৃক্ত নন।
ফেসবুক, টুইটার বা অন্য কোনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমার বা আমার স্ত্রীর কোনো আইডি নেই। শিক্ষাদান কেন্দ্রের শিক্ষার্থীদের পাঠদান এবং তাদের শৃঙ্খলাবদ্ধ রেখে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করানোর সাধনার মাঝে ওইসব আইডি খুলে তাতে সময় দেয়ার ফুসরত কোথায়? এ সুযোগে চক্রান্তকারীদের কেউ কেউ আমার, আমার স্ত্রী এবং আমার প্রতিষ্ঠানের নামে একাধিক ফেক বা ভুয়া আইডি খুলে দিচ্ছে স্টাটাস, দেয়া হচ্ছে ছবি। অনেক পরিচিতজন এবং ছাত্রছাত্রীদের কাছে স্টাটাসে আপত্তিকর মন্তব্য দেয়া হচ্ছে। অথচ এসবে আমার কোনো প্রকারের সংশ্লিষ্টতা নেই। ভুয়া ওইসব অ্যাকাউন্টে বন্ধু হয়ে প্রতারিত হবেন না, ওদের আপত্তিকর প্রচারণায় বিভ্রান্ত এড়াতে সকলকে সতর্ক হওয়ারও আহ্বান জানাচ্ছি। তা ছাড়া কিছু আইডির মাধ্যমে আমার ও আমার স্ত্রীসহ আমার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আপত্তিকর বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। এসব যারা ছড়াচ্ছে তাদেরকে এসব থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।’
দেশে প্রচলিত তথ্য প্রযুক্তি আইন-২০০৬ সংশোধনী বাংলাদেশ তথ্য প্রযুক্তি আইন -২০১৩ অনুযায়ী সোস্যাল মিডিয়ায় কোনো ব্যক্তির নামে ফেক আইডি খুলে পরিচালনা করা আমলযোগ্য অপরাধ। এ আইনের ৫৭ ধারায় বলা হয়েছে, সোস্যাল মিডিয়াতে কেউ মিথ্যা, অশ্লীল ও মানহানিকর তথ্য প্রকাশ করলে, উসকানিমূলক, জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী, ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত জামিনঅযোগ্য অপরাধ। এসব অপরাধীর ১৪ বছরের কারাদণ্ড ও অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ড হতে পারে। এসব আইন তোয়াক্কা না করে সমাজে কিছু ব্যক্তি রয়েছে যারা অন্যের নামে বা বেনামে ভুয়া আইডি খুলে দিব্যি অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। আইনের কথা উল্লেখ করে রংধনু পরিচালক বলেছেন, অনেকেই হয়তো কারো মদদে অপপ্রচার করেছেন, করছেন তারা হয়তো আইনের কঠোরতা না বুঝেই করছেন। আমি তাদেরকে অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য আবারও আহ্বান জানাচ্ছি।
আব্দুস সালাম তার শিক্ষাদান কেন্দ্রের বর্তমান চিত্র তুলে ধরে বলেন, শিক্ষাদান কেন্দ্রটি চুয়াডাঙ্গায় শিক্ষার মানবৃদ্ধিতে সব সময়ই আন্তরিক। তারই সুফল হিসেবে চুয়াডাঙ্গা সদর থেকে ২০১৩ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ৮ শিক্ষার্থী মেধা এবং সুবিধাজনক অপেক্ষমাণ তালিকায় নিজেদের স্থান করে নিয়েছে তারা সকলেই রংধনুর শিক্ষার্থী। তাছাড়া দেশের সরকারি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ২০ জন ভর্তির যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখেছে তার মধ্যে ১৬ জনই রংধনুর শিক্ষার্থী।