স্টাফ রিপোর্টার: অবরোধে অব্যাহত রয়েছে রেলে নাশকতা। রেললাইনের ফিসপ্লেট তুলে ফেলায় রোববার কুমিল্লা ও রাজশাহীতে দুটি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে আড়াই শতাধিক যাত্রী আহত হন। চাঁদপুর, ময়মনসিংহ ও পাবনাসহ কয়েকটি স্থানে রেললাইন ও ফিসপ্লেট তুলে ফেলে এবং স্লিপারে আগুন দেয় অবরোধকারীরা। আর এসব ঘটনায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে রেলপথ এবং ট্রেনের শিডিউল। রাজধানীর সাথে বিভিন্ন স্থানের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
রেললাইনের ফিসপ্লেট খুলে ফেলায় রাতে কুমিল্লায় লাইনচ্যুত হয় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকামুখী গোধূলী এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনসহ পাঁচটি বগি। এতে চট্টগ্রামের সাথে ঢাকা ও সিলেটের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এর আগে রাজশাহীতে একই কারণে ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেন ধূমকেতুর ইঞ্জিনসহ ছয়টি বগি লাইনচ্যুত হয়। তাতে রাজশাহীর সাথে সারাদেশের যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে যায়। সীতাকুণ্ডে চলন্ত ট্রেনে ইটের টুকরা নিক্ষেপ করলে মেঘনা এক্সপ্রেসের চালক গুরুতর আহত হন। ফলে সীতাকুণ্ড স্টেশনে ট্রেনটি আটকা পড়ে। সকালে ইস্পাহানি রেলগেট এলাকায় লাইনে আগুন দেয় অবরোধকারীরা। এতে দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ট্রেন চলাচল। এছাড়া চাঁদপুর ও ময়মনসিংহের ত্রিশালে রেললাইন উপড়ে এবং ফিসপ্লেট খুলে ফেলায় চাঁদপুর-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। গফরগাঁওয়ে আগুন দিয়ে রেললাইন অবরোধ করে ১৮ দলের কর্মীরা।