নজরুল ইসলাম: রবি মরসুমে বরো রোপনের এখনও মাসখানিক বাকি থাকলেও চাষিরা আগাম প্রস্তুতি হিসাবে বীজতলা তৈরীতে কাটাচ্ছেন ব্যাস্ত সময়। বীজ ধানের দাম লাগামহীন হলেও চাষিদের মুখবুজে কিনতে হচ্ছে এ বীজধান। এবছর ধান-পাট চাষকরে চাষিদের লোকশান হলেও পরিবারের খাদ্য ঘাটতি মেটাতেই করছেন ধানচাষ।
এলাকাঘুরে জানাগেছে, রবি মরসুমে বোর ধান লাগানোর এখনও মাসখানিক বাকি আছে। এ ধান লাগাতে পূর্ব থেকে চাষিরা ধানের চারা তৈরীতে বস্ত সময় কাটাছেন বীজতলা তৈরীতে। বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখাগেছে বোর রোপনের এ সময়টায় এক শ্রেণীর বীজ ব্যাবসায়িরা এক এক নামে বাহারি রঙ্গের প্যাকেটে বিক্রি করছে ধানবীজ। বাজারে বিএডিসি’র সরকারি ধান বীজ বাজারে বিক্রী হচ্ছে ১০ কেজি ওজনের প্যাকেট ৩৪০ টাকায়। বেসরকারি কোম্পানীর বীজ একমনের দাম হাকানো হয়েছে ১২ হজার টাকার উপরে। বিভিন্ন কোম্পানীর বিভিন্ন নামে বাহারি সব প্যাকেটে বিক্রী হচ্ছে ধানের বীজ। এবছর ধান ও পাট চাষকরে চাষিরা লোকশান গুনলেও পরিবারের খাদ্যঘাটতি পুরণে অনেক টায় নিজ প্রয়োজনে করছে ধানচাষ। এ ধানচাষ করার জন্য চাষিরা ধানের চারা তৈরীর জন্য বর্তমানে ব্যাস্ত সময় কাটাচ্ছে বীজতলায়। বীজতলা সাধারণত ভালো হয় নিচু জমিতে। সবচেয়ে ভালো হয় ডোবা বা খালে বিলে অথবা নদীর ধারে। যাদের এসমস্থ জায়গায় জমি নেই তারা বীজতলার জন্য কাটাপ্রতি গুনছেন ১ হজার থেকে দেড় হাজার টাকা। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের কোটালী গ্রামের চাষি আজিজুল, আজগার আলী, জাকির হোসেন, আজিজুল হক জানান, বীজতলার জন্য প্রথমে জায়গা নির্ধারণ। তারপর পরিষ্কার করে একাধিক চাষ দেওয়া। ধানের বীজ ছিটানোর পূর্বে কাদামাটি সমান কারা। বীজ ফেলার আগে বিভিন্ন প্রকার সার ও সামান্য পানি রাখলে ভালো হয়। ধানের বীজ ছিটানোর আগে বাড়িতে কয়েকদিন রেখে ধানের মুখ গুলি থেকে অঙ্কুর বেরকরে নিলে সবচেয়ে ভালো হয়। বীজ থেকে দু’পাতা করে হলে সামান্য কিছু সার এবং সবসময় চারার গোড়ায় ১/২ ইঞ্চি পানি দিয়ে রাখলে ভালো হয়। চারার বয়স যখন ৩৫ থেকে ৪০ দিন হবে তখন বীজতলা থেকে সরিয়ে লাগাতে হবে জমিতে। চাষিরা অভিযোগ করে বলেন, বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির বাহারি প্যাকেটে যে ধানের বীজ চড়া মূল্যে কিনতে হচ্ছে তা আর বলার নয়। প্রায় সব কোম্পানির প্যাকেটের গায়ে বিঘা প্রতি ফলনের হার উলে¬খ করা রয়েছে। তাতে করে বাজারে গিয়ে ধানবীজ কিনতে অনেকটায় পড়তে হচ্ছে গোলোক ধাধার মধ্যে। গত বছর ধানের দাম না পাওয়ায় এবছর চাষিরা ভুট্রাচাষের দিকে ঝুকে পড়েছে। ফলে শুধু মাত্র পরিবারের খাদ্য ঘাটতি পুরণের জন্য ধানচাষ করছে চাষিরা। ধান বীজের বাজারের দিকে সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের একটু নজর দেওয়া দরকার বলে দাবি জানিয়েছে চাষি মহল।