চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুর ও ঝিনাইদহে বিএনপি জামায়াত জোটের গায়েবানা জানাজা কর্মসূচি পালন : বক্তারা বললেন

পুলিশ লেলিয়ে আন্দোলন থামানো যাবে না : নির্দলীয় সরকারের অধিন ছাড়া নির্বাচন হবে না

 

মাথাভাঙ্গা ডেস্ক: চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর ও ঝিনাইদহসহ সারাদেশে বাদ জুম্মা গায়েবানা জানাজা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। অবৈধ তফশিল বাতিল করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে অবোরোধ কর্মসূচি পালনকালে পুলিশের গুলিতে নিহতদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় কেন্দ্রীয়ভাবে এ কর্মসূচি ঘোষণা করে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি, বিএনপির একাংশসহ মনোনয়নপ্রত্যাশী দুজনের সমর্থকেরা পৃথকভাবে গায়েবানা জানাজার আয়োজন করে। আজ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট। গায়েবানা জানাজার আগে সমাবেশে বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে মেতেছে। একতরফা নির্বাচন দেশবাসী প্রতিহত করবে। বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে চলমান আন্দোলনকে পুলিশ দিয়ে থামানো যাবে না। পুলিশি নির্যাতন খুন বন্ধ না হলে আন্দোলন আরো তীব্রতর হবে। নির্দলীয় নিরপিক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে ছাড়া দেশে নির্বাচন হবে না। হতে দেবে না দেশবাসী।

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে গায়েবানা জানাজা পরিচালনা করেন জেলা ওলামাদলের নেতা মো. জাহিদুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্মসম্পাদক অ্যাড. ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, পৌর বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম রতন, সাধারণ সম্পাদক মজিবুল হক মালিক মজু, বিএনপি নেতা আবু জাফর মণ্টু, রবিউল ইসলাম লিটন, মকলেছুর রহমান মকলেচ, মুকুল জোয়ার্দ্দার, আরিফুজ্জামান পিণ্টু, ছাত্রনেতা এমএ তালহা, রাজিব খান, সুজন মালিক প্রমুখ।

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি একাংশের উদ্যোগে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা আইনজীবী সমিতি মিলায়তনের সামনে গায়েবানা জানাজায় ইমামতি করেন কোর্ট মসজিদের ইমাম মাও. রুহুল আমিন। অবরোধ চলাকালে যে সকল নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ পুলিশের গুলিতে ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়ে নিহত হয়েছে। তাদের রুহের মাগফেতার কামনা করে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয় বলে বিএনপি প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে। এ জানাজায় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সহসভাপতি অ্যাড. এমএম শাহাজাহান মুকুল, যুগ্মসম্পাদক মাহমুদুল হক পল্টু, সহসাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম মনি, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. হেদায়েদ হোসেন আসলাম, চুয়াডাঙ্গা পৌর জামায়াতের আমির মফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাসুদ পাভেজ রাসেল, সদর উপজেলা জামায়াতের আমির আব্দুর রউফ, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুল্লা জোয়ার্দ্দার ছটি, সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাজি আব্দুল মলেকসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

অপরদিকে, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী জাহাঙ্গীর আলমের উদ্যোগে একই স্থানে জানাজায় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক আইনুর হক পচা, জেলা বিএনপির সহসভাপতি আরশেদ আলী কালু, চুয়াডাঙ্গা জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক বকুল, সাধারণ সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম ওহিদ, জেলা কৃষকদলের সভাপতি হামিদুল হক নেতাজী, চুয়াডাঙ্গা পৌর বিএনপির যুগ্মসম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ, সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, আফতার উদ্দিন পিন্টু আলমডাঙ্গা থানা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক মশিউর রহমান বাবু, তৃণমূল দলের আহ্বায়ক শামিম আল মামুন প্রিন্স, যুগ্মআহ্বায়ক আশরাফুল আলম প্রমুখ। জানাজা অনুষ্ঠানে দোয়া করেন মাও. সাইফুল্লাহ।

এদিকে বিএনপি নেতা লে. কর্নেল (অব.) কামরুজ্জমানের সমর্থকেরাও সিনেমহালপাড়াস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে গায়েবানা জানাজার আয়োজন করে বলে সংশ্লিস্টরা জানিয়ে বলেছেন, গায়েবানা জানাজা পরিচালনা করেন মাও. হারুন। জানাজাপূর্ব সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি নেতা রেজাউল করিম মুকুট। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি এবিএম হাসান হাসু। প্রধান বক্তা ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আলী হোসেন। উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা মহাসিন আলী, মফিজুর রহমান, সৈয়দ শফিকুল ইসলাম বিলাস, মনিরুজ্জামান লিপ্টন প্রমুখ।

আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, আলমডাঙ্গায় ১৮ দলের গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। হাজিমোড়স্থ বিএনপি অফিসে অনুষ্ঠিত ওই জানাজায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ সাইফুল ইসলাম, আব্দুল জব্বার, নুর মোহাম্মদ টিপু, এমদাদুল হক ডাবু, ইসরাফ হোসেন, আজিজুর রহমান পিন্টু, ইউছুপ আলী, বিল্লাল হোসেন, দারুস সালাম, আব্দুল কুদ্দুস, আনোয়ার হোসেন, রেজাউল করিম, মহিউদ্দিন, সহিদুজ্জদোজা মিল্টন, আমজাদ হোসেন, আলাউদ্দিন, লিয়াকত আলী, সন্টু, মহিনুল ইসলাম, জামিরুল ইসলাম, আব্দুল মান্নান, ডা. আব্দুল লতিফ, আজিজুল হক, মাগরিবুর রহমান, গোলাম হোসেন, ওহিদুল ইসলাম, মুকুল, গোলাম বিশ্বাস, লিমন রহিত প্রমুখ। ইমামতি করেন আব্দুল মান্নান।

দর্শনা অফিস জানিয়েছে, দর্শনায় গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল শুক্রবার বাদজুম্মা দর্শনা বাসস্ট্যান্ডে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক সাবু তরফদার, দর্শনা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম, অপরাংশের সভাপতি রহম আলী, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল ইসলাম খোকন, বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান বুলেট, দর্শনা পৌর জামায়াতের আমির আব্দুল কাদের, সেক্রেটারি গোলজার হোসেন, জামায়াত নেতা মাও. হাবিবুর রহমান, আবুজার গেফারী, আব্বাস উদ্দিন, আশকার আলী, যুবদল নেতা নাহারুল ইসলাম শিক্ষক প্রমুখ।

ঝিনাইদহ অফিস জানিয়েছে, ঝিনাইদহে গায়েবানা জানাজা গতকাল শুক্রবার বাদজুম্মা শহরের পোস্টঅফিস মোড়ে অনুষ্ঠিত হয়। অংশগ্রহণ করেন ১৮ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা। ইমামতি করেন মাও. আল আহসান। এর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক এমপি মসিউর রহমান। সমাবেশে তিনি দেশব্যাপি ১৮ দলীয় জোট নেতাকর্মীদের হত্যা, হামলা, মামলা ও নির্যাতনের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানান।

এদিকে জেলার শৈলকুপা উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে জানাজায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি এমএ ওহাব। কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি দলীয় কার্যালয়ের সামনে গায়েবানা জানাজার আয়োজন করে। এতে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহাবুবার রহমান ও যুগ্মআহ্বায়ক হামিদুল ইসলামসহ ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, মেহেরপুর জেলা বিএনপির উদ্যোগে বিএনপিসহ ১৮ দলীয় জোটের ডাকা তিন দিনের অবরোধে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিহত কর্মীদের মাগফেরাত কামনায় গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বাদজুম্মা মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপিতে অনুষ্ঠিত জানাজায় অংশগ্রহণ করেন জেলা বিএনপির যুগ্মআহ্বায়ক আনছারুল হক, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির সিরাজুল হক, সিরাজুল ইসলাম, যুবদল নেতা ওমর ফারুক লিটন, পৌর যুবদল সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান তপন, বানি হোসেন, কিতাব আলী, শাখাওয়াত, আব্দুল হান্নান, তৌফিক আলী প্রমুখ।

অপরদিকে সকাল সাড়ে ৯টায় মেহেরপুর কমিউনিটি সেন্টার হল প্রাঙ্গণে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় বক্তব্য রাখেন সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম,সহসভাপতি আব্দুর রহমান, জেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি ফারুক হোসেন, উপজেলা আমির রুহুল আমিন, পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস। পরে সেখানে নিহত নেতাকর্মীদের মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি ইলিয়াস হোসেন, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, জেলা বিএনপির যুগ্মসম্পাদক মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।