ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে প্রাইভেট হাসপাতাল, আর প্যাথলজিক্যাল ল্যাব। হাতেগোনা দু-চারটি হাসপাতাল ও প্যাথলজিক্যাল ল্যাব ছাড়া বাকিগুলোর মান নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সেবার বেহালদশার সুযোগে প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিকে গলাকাটা চার্জ আদায় করা হচ্ছে।
জেলা সিভিল সার্জন অফিসসূত্রে জানা গেছে, শৈলকুপা উপজেলায় প্রাইভেট হাসপাতাল ও প্যাথলজিক্যাল ল্যাব আছে ১৭টি, ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় আছে ৪৩টি, কালীগঞ্জ উপজেলায় আছে ২৪টি, মহেশপুর উপজেলায় আছে ২৮টি, কোটচাঁদপুর উপজেলায় আছে ১৬টি এবং হরিণাকুণ্ডু উপজেলায় আছে ১২টি। সরকারি আইন অনুয়ায়ী প্রাইভেট হাসপাতালে একজন সার্বক্ষণিক ডাক্তার, ৩ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নার্স, অ্যাম্বুলেন্স ও উন্নতমানের ওটি থাকার কথা। হাতেগোনা ২-৪টি ছাড়া অন্য হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে সার্বক্ষণিক ডাক্তার নেই। লাইসেন্স বাগানোর জন্য একজন ডাক্তারের নাম ব্যবহার করেন হাসপাতাল বা ক্লিনিক মালিক। নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্স নেই প্রায় সবগুলো হাসপাতাল বা ক্লিনিকের। আধুনিক সরঞ্জামে সজ্জিত অপারেশন থিয়েটার আছে ঝিনাইদহ শহরের মাত্র কয়েকটি প্রাইভেট হাসপাতালে।
মাঝে-মধ্যেই অপচিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ শোনা যায়, ম্যানেজার বা মালিক ডাক্তার সেজে অপারেশন করেন। রোগীর আত্মীয়-স্বজন বা পড়শীরা উত্তেজিত হয়ে হাসপাতালে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডা. নাসরিন সুলতানা জানান, তিনি অসহায়। হাসপাতাল বা ক্লিনিক বন্ধ করার পর স্থানীয় প্রভাবশালীরা চাপ সৃষ্টি করে।