স্টাফ রিপোর্টার: আওয়ামী লীগের পার্লামেন্টারী বোর্ডের দু দিনের বৈঠকে প্রায় আড়াইশ’ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রথম দিন বুধবার রংপুর, রাজশাহী, খুলনা এবং বরিশাল বিভাগের জেলাগুলোর প্রায় পৌনে দুশ (১৮৩) আওয়ামী লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়। দ্বিতীয় দিন এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত চট্টগ্রাম, সিলেট এবং ঢাকা বিভাগের আসনগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য দলীয় প্রার্থী মনোনয়নের কাজ চলছিলো।
জানা গেছে, দুটি বিষয় সামনে রেখে আওয়ামী লীগ আসন্ন সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য প্রার্থী চূড়ান্ত করছে। প্রথমত ভাবা হচ্ছে, একতরফা নির্বাচনের বিষয়টি। সেক্ষেত্রে বর্তমান এমপিদের অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, বিএনপি নির্বাচনে এলে যেমন প্রার্থী দরকার, ঠিক তেমন প্রার্থীও রাখা হচ্ছে তালিকায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগ পার্লামেন্টারী বোর্ডের একজন সদস্য বলেন, দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা চাইলে পার্লামেন্টারী বোর্ড মনোনীত প্রার্থীও পরিবর্তন করতে পারেন। এ ব্যাপারে তাকে সব ধরনের ক্ষমতা দেয়া আছে। সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের পার্লামেন্টারি বোর্ড মনোনীত প্রার্থীও শেষ পর্যন্ত দলীয় মনোনয়ন থেকে বাদ পড়তে পারেন। দু দিনে চূড়ান্তভাবে মনোনীত দু’শ আসনের মধ্য থেকে শতাধিক আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঢাকার একটি পত্রিকা যাদের নাম প্রকাশ করেছে তারা হলেন-।
পাবনা-১ শামসুল হক টুকু, পাবনা-২ মির্জা আবদুল জলিল, পাবনা-৩ মকবুল হোসেন, পাবনা-৪ শামসুর রহমান শরিফ ডিলু, পাবনা-৫ গোলাম ফারুক প্রিন্স, কুষ্টিয়া-১ আফাজ উদ্দিন আহমেদ, কুষ্টিয়া-৩ মাহবুবউল আলম হানিফ, চুয়াডাঙ্গা-১ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার, চুয়াডাঙ্গা-২ আলী আজগার টগর, ঝিনাইদহ-১ আবদুল হাই, ঝিনাইদহ-২ সফিকুল ইসলাম, ঝিনাইদহ-৩ সাজ্জাতুজ জুম্মা, ঝিনাইদহ-৪ আবদুল মান্নান, যশোর-১ শেখ আফিল উদ্দিন, যশোর-৩ শাহীন চাকলাদার, যশোর-৬ শাহ হাদিউজ্জামান, মাগুরা-১ সিরাজুল আকবর, মাগুরা-২ বীরেন শিকদার, নড়াইল-১ কবিরুল হক মুক্তি, বাগেরহাট-১ শেখ হেলাল উদ্দীন, বাগেরহাট-৩ তালুকদার আবদুল খালেক, বাগেরহাট-৪ ডা. মোজাম্মেল হক, খুলনা-১ পঞ্চানন বিশ্বাস, খুলনা-২ মিজানুর রহমান মিজান, খুলনা-৩ মন্নুজান সুফিয়ান, খুলনা-৬ নুরুল হক অথবা তার ছেলে, সাতক্ষীরা-১ এবিএম নজরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা-৩ রুহুল হক/জামায়েত আলী।