চুয়াডাঙ্গার সম্ভাব্য প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণামূলক বা শুভেচ্ছা জানিয়ে
স্টাফ রিপোর্টার: সম্ভাব্য প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণামূলক বা শুভেচ্ছা জানিয়ে বিভিন্ন ধরনের পোস্টার, স্টিকার, ব্যানার, বিলবোর্ড, লিফলেট দেয়াল লিখন ইত্যাদি অপসারণের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও ১০ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চুয়াডাঙ্গা রিটার্নিং অফিসার দেলোয়ার হোসাইন। গত পরশু মঙ্গলবার জারিকৃত বিজ্ঞপ্তিতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিজ খরচে নিজ নিজ উদ্যোগে অপসারণের নিদের্শ দিলেও গতকাল পর্যন্ত তা অপসারণের তেমন উদ্যোগ লক্ষ্য করা যায়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলার সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সম্ভাব্য প্রার্থী ও সর্বসাধারনের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণামূলক বা শুভেচ্ছা জানিয়ে বিভিন্ন ধরনের পোস্টার, স্টিকার, ব্যানার, বিলবোর্ড, লিফলেট, দেয়াল লিখন ইত্যাদি পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ ধারণের কার্যক্রম নির্বাচন আচরণ বিধিমালা এবং নির্বাচনী আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। বিধায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলার সকল নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন ব্যক্তিকর্তৃক লাগানো পোস্টার, স্টিকার, ব্যনার, বিলবোর্ড ইত্যাদি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে স্ব উদ্যোগে ও নিজ খরচে অপসারণ এবং দেয়াল লিখন মুছে ফেলার নির্দেশ প্রদান করা হলো। নির্ধারিত সময়ের পরে কোনো ব্যক্তির প্রচারণামূলক বা শুভেচ্ছামূলক কোনো পোস্টার স্টিকার, ব্যনার, বিলবোর্ড, লিফলেট দেয়াল লিখন ইত্যাদি দৃষ্টিগোচর হলে তা সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা-২০০৮ এর পরিপন্থি এবং শাস্তযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হবে। ওই বিধিমালার ১৮ বিধি অনুসারে এরূপ অপরাধের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তকে অনধিক ৬ মাসের কারাদণ্ড অথবা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থ দণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন। কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নির্বাচন পূর্ব সময়ে আচরণ বিধিমালার কোনো বিধি লঙ্ঘন করলে অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবে।
গত পরশু মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার এ বিজ্ঞপ্তি জারি করলেও চুয়াডাঙ্গার প্রাণকেন্দ্র শহীদ হাসান চত্বরসহ প্রধান প্রধান সড়ক থেকে তেমন কোনো বিলবোর্ড অপসারণ করা হয়নি। পোস্টারও সরানো হয়নি।