স্টাফ রিপোর্টার: হাজি আবু হানিফ বলে পরিচয় দেয়া সুনামগঞ্জের ব্যক্তি চুয়াডাঙ্গায় টাকা আদায় করতে এসে প্রতারিত হয়নি, উল্টো তিনিই প্রতারণা করে কিছু টাকা নিয়ে ট্রেন ধরেছেন। গতকাল রোববার তাকে নিয়ে পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে চুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্জের এক ব্যক্তি এরকমই তথ্য দিয়ে বলেন, কিছুদিন আগে একই পরিচয় দিয়ে সরোজগঞ্জে অভিন্ন নাটক করে। মেহেরপুরের একজনের নিকট পাওনা টাকা আদায় করতে এসে প্রতারিত হয়ে অসহায়ত্ব ফুটিয়ে তোলে। তাকে ১৯৫০ টাকা দিয়ে বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করা হয়। এর পর সেই একই লোক এবার চুয়াডাঙ্গার শাহীনের নিকট ২৬ হাজার টাকা আদায় করতে এসে প্রতারিত হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে।
উল্লেখ্য, গতপরশু চুয়াডাঙ্গা কোর্টপাড়ার মধ্যবয়সী লেবাসধারী এক ব্যক্তি অজ্ঞান হন। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো হয়। সুস্থ হয়ে জানান, তিনি সৌদিআরব প্রবাসী। সেখানেই পরিচয় হয় চুয়াডাঙ্গার শাহিনের সাথে। শাহিন টাকা নেয়। সেই টাকা পরিশোধের কথা বলে ডেকে নিয়ে কয়েকদিন ধরে ঘুরিয়ে শাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে অজ্ঞান করা ওষুধ প্রয়োগের পর পালিয়েছে। এ কথা শুনে কেদারগঞ্জপাড়ার বকুলসহ অনেকেই সহযোগিতার হাত বাড়ান। গতকাল দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদন পড়ে সরোজগঞ্জ এলাকার একজন উপরোক্ত তথ্য দিয়ে বলেছেন, ওই লোক এমনভাবে নাটক করে যে, টাকা দিতে গেলেও লজ্জায় তা নিতে চান না। অথচ তিনি প্রতারক। যা পরে বুঝেছি। তিনি একইভাবে সরল-সোজা মানুষের সাথে প্রতারণা করে। কারণ ইতোপূর্বে মেহেরপুরের পাওনাদারের পরিচয় যেমন দিতে পারেনি, তেমনই এবার চুয়াডাঙ্গার শাহিনেরও বিস্তারিত পরিচয় দেয়নি। নাটক করে, নাকে কেঁদে যা পায় তা নিয়েই সটকে পড়ে।