মেহেরপুর অফিস: ভারতে দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত মেহেরপুর সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী শৈলমারী গ্রামের শফিকুল ইসলামের (২৮) লাশ দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে জানাজা শেষে গ্রাম্য কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়। পরিবারে এখনও কাটেনি শোকের ছায়া।
দুপুরের আগে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালমর্গে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দুলু মিয়া নিহতের চাচাতো ভাই বাবর আলী ও রকিবুল ইসলামের কাছে লাশ হস্তান্তর করেন। এদিকে হত্যাকাণ্ডের খবর পাওয়ার পরপরই পরিবারের পক্ষ থেকে শৈলমারী গ্রামের এক ব্যক্তিকে দায়ী করা হয়। তেরঘরিয়া গ্রামের ডাকাতি মামলায় ওই ব্যক্তিটি শফিকুলের সাথে আসমি রয়েছেন। তার তত্ত্বাবধানে ভারতে পাড়ি জমায় শফিকুল। সেখান থেকে দেশে ফিরে জামিন নেয়ার নেয় শফিকুল ও তার পরিবারের লোকজন। এর মধ্যে চিহ্নিত ওই ব্যক্তিটির সাথে বিরোধ শুরু হয়। এ কারণে পরিকল্পিতভাবে তাকে ভারতে খুন করা হয়েছে বলে মনে করছে পরিবারের লোকজন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের চিন্তাও করছে নিহতের পরিবারের লোকজন।
উল্লেখ্য, একটি ডাকাতি মামলার আসামি হয়ে ৭/৮ মাস আগে ভারতের মুরুটিয়া থানার কাকজীপাড়া এলাকায় আত্মগোপন করেন শৈলমারী গ্রামের বাবু মিয়ার ছেলে শফিকুল ইসলাম। সেখানে স্থানীয় কিছু চরমপন্থির সাথে তার বিরোধের জের গত মঙ্গলবার রাত ৯টার তাকে গলায় ফাঁস দিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। বৃহস্পতিবার সকালে কাথুলী সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠকে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে বিএসএফ। পরিবার ও বিজিবির পক্ষ থেকে লাশ ফেরতের দাবি জানায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে ভারতীয় পুলিশ বিজিবি-বিএসএফ’র সহায়তায় লাশ ফেরত দেয়। সদর থানার এসআই দুলূ মিয়া লাশ গ্রহণ করে ময়নাতদন্তের জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালমর্গে প্রেরণ করেন বৃহস্পতিবার বিকেলে।