মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাগ্রত হয়ে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে রুখতে হবে
হানিফ মন্ডল/মোস্তাফিজুর রহমান কচি: স্বাধীনতা যুদ্ধের ৪২ বছর পর দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গায় নির্মাণ হতে যাচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন। চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগরের যুগান্তকারী পদক্ষেপে দেড়কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হতে যাচ্ছে এ কমপ্লেক্স ভবন। বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কমপ্লেক্স ভবনের নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর ফলক আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা সাইক্লোন ভবনমাঠে ফলক উন্মোচন শেষে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে এমপি আলী আজগার টগর বলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম’ বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমানের উদ্যাত্ত আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালে দীর্ঘ ৯ মাস এ দেশের দামাল ছেলেরা বিভিশিখাময় পরিস্থিতির মোকাবেলার মাধ্যমে পাকহানাদার বাহিনীকে পরাস্থ করে লাখো শহীদের বিনিময়ে অর্জন করেছিলো আজকের এ বিজয়। এ বিজয় একদিকে যেমন আনন্দের অন্যদিকে অত্যান্ত বেদনারও বটে। এ বিজয়ের পেছনে রয়েছে রক্তাক্ত ইতিহাস। যে ইতিহাস বিকৃতি করার খেলায় মেতেছে এ দেশের স্বাধীনতা বিরোধীচক্র। এরা বঙ্গবন্ধুকে জাতীর পিতা হিসেবে মানে না। আমাদের স্বাধীনতা সর্বভৌমকে নস্যাৎ করার পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। ১৯৭১ সালে যারা স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলো, আবারো সেই মানবতাবিরোধী অপশক্তি বিজয়ের মহত্তকে বিলীন করার অপচেষ্টায় মেতেছে। তাই আজকের প্রজন্মকে স্বাধীনতা যুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে। সেইসাথে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আদর্শিত হয়ে তার সোনালী স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে। এর আগে দেশ পরিচালনার দায়িত্বে যারা ছিলো, তারা কখনো জাতীর গর্বিত সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ভাবেনি। আ.লীগ সরকার সব সময় মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে কাজ করে আসছে। বর্তমানে আ.লীগ সরকারে উন্নয়নে বেসামাল হয়ে পড়েছে স্বাধীনতা বিরোধীরা। তাই আসুন মুক্তিযদ্ধের চেতনায় জাগ্রত হয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে আবারো রাষ্ট্রক্ষমতায় আ.লীগকে বসিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে রুখে দিই। দামুড়হুদা উপজেলা মুক্তিযুদ্ধ সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আছির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দামুড়হুদা উপজেলা আ.লীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু, যুগ্মসম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান জাকারিয়া আলম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মালিক, দর্শনা পৌর আ.লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী, আব্দুল কুদ্দুস ড্রাইভার, এরশাদ আলী মাস্টার, আ.লীগ নেতা শওকত আলী, ফজলুল হক, জাহাঙ্গীর আলম, শহিদুল সরদার, নজির আহম্মেদ, উসমান গণি, শহিদুল হক, সরোয়ার হোসেন, আ. করিম, আসাদুজ্জামান, যুবলীগ নেতা আসাদুজ্জামান কবির, গোলাম মোস্তফা লালা, আবু তালেব, আব্দুল হান্নান ছোট, ইকবাল হোসেন, মামুন শাহ, আশরাফুল আলম বাবু, একে আজাদ কিরণ, আব্দুস সালাম ভুট্টো, আসাদুল ইসলাম, সালাম বিশ্বাস, মুকুল, আব্দুর রাজ্জাক, সাইফুল, হাকিম, লাবু, ফয়সাল, রেজাউল, স্বপন, ছাত্রলীগ নেতা মিঠু বিশ্বাস, শিরিন, রানা, হিরোক, জুয়েল, মিলন প্রমুখ। ১ কোটি ৫৭ লাখ ১৪ হাজার ১৮৩ টাকা ব্যয়ে কার্পাসডাঙ্গা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের ফলক উন্মোচন করা হয়।