চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে স্বাস্ব্যসেবার পরিবেশ ফেরাতে ছাত্রসমাজের আন্দোলন অব্যাহত

অনিয়মের বাসা ভাঙার দাবি তুলতেই যখন অর্ধেক অনিয়ম উড়ে গেছে তখন পুরোটা দূর হবে না কেন?

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে অনিয়মের বাসা ভাঙার দাবি তুলতেই যখন অর্ধেক অনিয়ম উড়ে গেছে, তখন কর্মকর্তারা আন্তরিক হলে একটি অনিয়মও কি থাকতে পারে? অথচ সিভিল সার্জন সেদিকে আন্তরিক নন। চুয়াডাঙ্গার স্বাস্থ্য সেবার মান বৃদ্ধিতে সিভিল সার্জনের আন্তরিকতা, হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করাসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে ছাত্র হাসপাতাল চত্বরে সমাবেতন ছাত্রসমাজ এ মন্তব্য করার পাশাপাশি নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী সোমবার চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সিভিল সার্জন বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হবে। স্মারকলিপি পেশ করার প্রাক্কালে শহরে বের করা হবে শোভযাত্রা। দাবি-দাওয়া লেখা ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে গতকালও সকাল ১০টার দিকে ছাত্রসমাজ ব্যানারে সমাবেত হন অসংখ্য ছাত্র। তারা স্লোগান দিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের চুরি রোধ, অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধ, স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি, দালালমুক্ত পরিবেশ, মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভদের নির্দিষ্ট দিন ছাড়া কর্তব্যরত চিকিৎসকদের সাথে সাক্ষাত বন্ধের দাবি জানায়। এসব দাবি জানানোর পাশাপাশি বক্তব্য দিতে গিয়ে বক্তারা বলেন, গত ১৯ নভেম্বর হাসপাতাল ও সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের সামনে এক ঘণ্টার মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। উত্থাপিত দাবি দাওয়ার অধিকাংশই পরদিন থেকে পূরণ হয়েছে বলে পরিলক্ষিত হয়। এতে মনে হয়েছে, দাবি উত্থাপনের মধ্যদিয়েই হাসপাতালের অধিক অনিয়ম দূর হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবাদানের পরিবেশও অনেকটা গড়ে উঠেছে। কর্মকর্তারা আন্তরিক হলে বিশেষ করে সিভিল সার্জন ও আবাসিক মেডিকেল অফিসারের সুষ্ঠু তদারকিতে পুরো অনিয়ম দূর হতে বাধ্য। অবশ্য যদি কমিশন বাণিজ্যের দিকে কর্মকর্তারা না ঝোকেন।

ছাত্রসমাজের আয়োজনে বক্তব্য রাখেন জানিব, জ্যাকি, জাহাঙ্গীর, জনি, টুটুল, টোটন, সজল, নাইম, ফয়সাল প্রমুখ। বক্তারা বলেন, আগামী সোমবার সকাল ১০টায় শোভযাত্রা ও স্মারকলিপি পেশ কর্মসূচি পালন করা হবে। স্মারকলিপিতে দাবিদাওয়াগুলো উল্লেখ করে প্রতিকার চাওয়া হবে। প্রতিকার না মিললে পরবর্তীতে নতুন কর্মসূচি হাতে নেয়া হবে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল দালাল, চোর, দুর্নীতি অনিয়মমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা ছাত্রসমাজের আন্দোলন যেমন থামবে না, তেমনই মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভদের নির্ধারিত সময়ের বাইরে ডাক্তার ভিজিট মেনে নেয়া হবে না। কীভাবে এ নিয়ম মানাতে হবে চুয়াডাঙ্গা ছাত্রসমাজ তা জানে বলেও উল্লেখ করেন বক্তারা।