গাংনী প্রতিনিধি/মেহেরপুর অফিস: ভারতে দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত মেহেরপুর সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী শৈলমারী গ্রামের শফিকুল ইসলামের (২৮) লাশ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। গতকাল শুক্রবার দুপুর পৌনে ৩টার দিকে কাথুলী সীমান্তের ১৩৩ নং আন্তর্জাতিক সীমানা পিলারের ৩ এস পিলারের কাছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যদের মধ্যে পতাকা বৈঠকের পর লাশ গ্রহণ করে বিজিবি। বিজিবি কাথুলী কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার ফজলুল হক জানিয়েছেন বিজিবির পক্ষ থেকে তিনি লাশ গ্রহণ করে সদর থানা পুলিশের এসআই দুলু মিয়ার কাছে হস্তান্তর করেছেন। মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালমর্গে লাশের ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে। পতাকা বৈঠকের সময় বিএসএফ’র পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ভারতের মুরুটিয়ার ৮৫ বিএসএফ’র টেইনপুর ক্যাম্পের এসআই মাহিন্দ্র ঘোষ ও মুরুটিয়া থানার পরিদর্শক আবু সেলিম শেখসহ বিএসএফ ও ভারতীয় পুলিশের সদস্যরা। বিজিবির পক্ষে নেতৃত্বে ছিলেন কাথুলী কোম্পানি কমান্ডার ফজলু হক। এ সময় নিহতের পিতা বাবু মিয়াসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। শফিকুল ইসলামের হাত-পায়ের রগ কাটা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সময় স্বল্পতার কারণে গতকাল লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়নি। আজ ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দুলু মিয়া।
উল্লেখ্য, একটি ডাকাতি মামলার আসামি হয়ে ৭/৮ মাস আগে ভারতের মুরুটিয়া থানার কাকজীপাড়া এলাকায় আত্মগোপন করেন শৈলমারী গ্রামের বাবু মিয়ার ছেলে শফিকুল ইসলাম। সেখানে স্থানীয় কিছু চরমপন্থির সাথে তার বিরোধের জের গত মঙ্গলবার রাত ৯টার তাকে গলায় ফাঁস দিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে। বৃহস্পতিবার সকালে কাথুলী সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠকে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে বিএসএফ। পরিবার ও বিজিবির পক্ষ থেকে লাশ ফেরতের দাবি জানায়।